আবু রায়হান সরকার,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের উদ্যাগে ২০০৪ সালে ভয়াল ২১ আগস্ট আ’লীগের জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় আহত বঙ্গবন্ধু কন্যা,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ওই দিনের ঘটনায় শাহাদত বরণকারীদের স্মরণে চৌমুহনী পৌর অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বেগমগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ কিরণ।প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেগমগঞ্জ উপজেলা আ’লীগ সভাপতি ডাঃ এবিএম জাফর উল্লাহ,চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেদ সাইফুল্লাহ
এছাড়াও জেলা ও উপজেলা,পৌর আ’লীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় এমপি মামুনুর রশীদ কিরণ বলেন,২১ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে নির্মম ও বর্বরোচিত একটি কলঙ্কময় দিন।২০০৪ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামীলীগ আয়োজিত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ হামলার মূল লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব,গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করা এবং আ’লীগ ও বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করে হত্যা, ষড়যন্ত্র, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও দুঃশাসনকে চিরস্থায়ী করা। স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্র বিরোধী চক্র এখনও নানাভাবে সোচ্চার আছে। এই অপশক্তির যে কোনো অপতৎপরতা-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে।
এছাড়াও আলোচনা সভায় বেগমগঞ্জ উপজেলা আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরাও বক্তব্য রাখেন।একই সাথে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টার মাইন্ড তারেক জিয়াসহ সকল নেপথ্যের পরিকল্পনাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি করেন। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে তারেক জিয়া-খালেদা জিয়ার উত্তরসূরীরা যে নারকীয় ঘটনা ঘটনার সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড কার্যকর দাবি জানান। নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাতের কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।