সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক খোরশেদ আলমকে মামলার হুমকি দিয়েছেন কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন। খোরশেদ আলম যুগান্তরের গাজীপুরের কাপাসিয়া প্রতিনিধি।
সোমবার(৭ নভেম্বর) সকালের দিকে ফোনে এ হুমকি দেয় চেয়ারম্যান।
জানা যায়, গত ৬ নভেম্বর কাপাসিয়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মুহাম্মদ শহীদুল্লা-র অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল : নিন্দার ঝড় শিরোনামে যুগান্তর পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংবাদে সুত্র ফেইজবুকে ভাইরাল হওয়া ১ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের ভিডিও যাতে কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সাদা পাঞ্জাবী-পায়জামা, টুপি ও চশমা পরিহিত অবস্থায় একটি নির্জন স্থানে বসে আছেন। এসময় তিনি অপরপ্রান্তে কাউকে হাত ও মুখ নেড়ে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করছেন। এক পর্যায়ে তিনি একহাতে পেনিস নাড়াচাড়া করছেন। এ ভিডিও ভাইরালের পর ইতিমধ্যেই পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আ’লীগ।
ওই সংবাদের একাংশে গত কয়েক মাস আগে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন প্রধানের বিরুদ্ধে তার বাড়ির কাজের মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ফলে অন্তসত্ত্বা হয়ে কন্যা শিশু প্রসব করার অভিযোগে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর সাংবাদিক খোরশেদ আলমকে মুঠোফোনে মামলার হুমকি দেন চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন।
সাংবাদিক খোরশেদ আলম জানান, প্রতিবেদনে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি শব্দই তথ্য নির্ভর ও অন্যত্র প্রকাশিত। এছাড়াও চেয়ারম্যানের ঘটনার বর্ণনাও গণমাধ্যমে ভাইরাল একটা ইসু যা যুগান্তরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
খোরশেদ আলম বলেন, “ওই সংবাদ প্রকাশের পর চেয়ারম্যান আমাকে নিয়ে বিভিন্ন লোকজনের কাছে মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি আমার মুঠোফোনে ফোন দিয়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার পাশাপাশি মামলার হুমকির দিয়েছে।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, ‘তিনি আমার বিরুদ্ধে একটি সংবাদ পরিবেশন করেছেন। যা তদন্তের কাজ চলমান। প্রমানিত না হওয়ার আগেই সংবাদ করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে।
কাপাসিয়া থানার ওসি অপারেশন শেখ মোঃ আমিরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ কিংবা সাধারণ ডায়েরি করেননি। দায়েরের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।