ইসমাইল হোসেন, শেরপুর: শেরপুর জেলায় বাল্যবিবাহ্ ও বৈবাহিক অপরাধ বন্ধ এবং ভূয়া কাজী ও অধিক্ষেত্রে বাহিরের কাজী দ্বারা বিবাহ্, তালাক নিবন্ধনের প্রতিবাদে ১১ অক্টোবর (বুধবার) জেলা নিকাহ্ রেজিস্টার কল্যাণ সমিতির আয়োজনে শেরপুর জেলা শহরের নয়আনী বাজার (কালির বাজার) এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের সম্মুখে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শেরপুর জেলা নিকাহ রেজিস্টার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জুবায়ের ইবনে সালেহ। এসময় তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, শেরপুর জেলা ও শেরপুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত ও মৃত্যুবরণকারী নিকাহ্ রেজিস্টারদের ছেলেগণ ও কতিপয় ভূয়া কাজী আইন মন্ত্রণালয় থেকে নিকাহ রেজিস্টার নিয়োগ প্রাপ্ত না হয়েই তারা কাজী অফিসের সাইবোর্ড ঝুলিয়ে বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকগণ হলফ নামার মাধ্যমে বাল্যবিবাহ ও তালাক সম্পাদন করে আসছেন। এছাড়াও তিনি পৌরসভার গৃদ্দানারায়ণপুর এলাকার মৃত হযরত আলীর কাজীর ছেলে মো. আব্দুর রাকিব, মোবারকপুর মহল্লার আতাব উদ্দিনের ছেলে রাজু আহম্মেদ, শ্রীবরদী উপজেলার ইন্দিলপুর মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত সেকান্দর আলীর ছেলে মো. হারুন অর রশিদ সহ বেশ কিছু ভূয়া কাজীদের নাম উল্লেখ করেছেন।
এসব ভূয়া কাজীদের মধ্যে কেউ কেউ জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন এবং তারা এসব অবৈধভাবে বিবাহ্ ও তালাকনামা করে আসছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। এদিকে এসব ভূয়া কাজীদের মধ্যে ভূয়া কাজী রাজু আহম্মেদকে গত ২৪/৯/২০২৩ইং তারিখে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারি জজ আদালত কর্তৃক ৬ মাসের জেল এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন। আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত ভূয়া কাজী রাজু আহম্মেদ নিজেই ভূয়া কাজী হয়েও শেরপুর পৌরসভার নিয়োগপ্রাপ্ত নিকাহ রেজিস্টার (কাজী) আবুজর মো. আল আমিনের বিরুদ্ধে ৭ অক্টেবার আখের মাহমুদ বাজার এলাকায় মানববন্ধন করেন এবং সেই মানববন্ধনের ব্যানারে কাজী আল আমিনের ছবিতে লাল ক্রস চিহ্ন দিয়ে তাকে ভূয়া কাজী বানানোর অপচেষ্টা চালিয়েছে বলে এমনটাই অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে কাজী মো. তাবায়ের ইবনে সালেহ, মো. আবুজর আল আমীন, মো. আলমগীর হোসেন, মো. আনোয়ারুল হক, মো. সায়েম, মো. আব্বাস উদ্দিন, মো. আজাহারুল ইসলাম, মো. আসাদুজ্জামান সহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।