themeswala
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/swadhin/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি, অপারেশনস) হলেন কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন। তিনি বর্তমান এডিজি মাহাবুব আলমের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
রবিবার র্যাবের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কর্নেল মোমেন বর্তমানে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরে কর্মরত আছেন। আর মাহাবুব আলম ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে নিজ বাহিনীতে ফেরত যাচ্ছেন। এরপর তিনি গাজীপুরে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরী লি.-এ পরিচালক হিসেবে যোগদিবেন।
বাহিনীতে মেধাবী, সৎ ও কর্মঠ কর্মকর্তা হিসেবে সুপরিচিত আব্দুল্লাহ আল মোমেন এর আগেও র্যাবে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি র্যাব-১ এর অধিনায়ক ছিলেন। দীর্ঘদিন এ দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে পালন করেন তিনি। গত বছরের জুনে তিনি লে. কর্নেল থেকে পদোন্নতি পেয়ে কর্নেল হন এবং নিজ বাহিনীতে ফিরে যান।
র্যাব-১-এ দায়িত্ব পালনকালে মোমেনের বেশ কটি অভিযান আলোচিত হয়। রাজধানীর উত্তরার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের একটি অংশ কেনাবেচায় জড়িত গোলাম ফারুক নামের এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেন তিনি। ট্রান্সজেন্ডার নারী বিউটি ব্লগার সাদ মুআ-কে যৌন নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ফুয়াদ আমিন ইশতিয়াক ওরফে সানিসহ তার দুই সহযোগীকে আটকও তার নেতৃত্বে হয়।
দেশের প্রথম ‘মাদক বিজ্ঞানী’ওনাইসী সাঈদ ওরফে রেয়ার সাঈদকে গুলশান থেকে আটক; মানব পাচার, করোনা সার্টিফিকেট নিয়ে বিদেশগামীদের সঙ্গে প্রতারণা, সিকিউরিটি কোম্পানি খুলে প্রতারণা, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি সহজের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিমকে আটকসহ বিভিন্ন অভিযানের নেতৃত্ব দেন র্যাব-১-এর এই সাবেক অধিনায়ক।
এছাড়া অবৈধভাবে ভারতে কিডনি কেনাবেচা চক্রের মূলহোতা শহিদুল ইসলাম মিঠুকে গ্রেপ্তার করেন মোমেন।
আব্দুল্লাহ আল মোমেন বিভিন্ন সময়ে র্যাবে আরও কয়েকটি পদে দায়িত্ব পালন করেন। র্যাব-১২ অধিনায়ক, র্যাব-২ কোম্পানি কমান্ডার এবং র্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখায় উপপরিচালক হিসেবে কাজ করেন তিনি।
র্যাবে ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক’ (পিপিএম) অর্জন করেন।
সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা কিছুদিন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশেও (বিজিবি) সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালে ৪৬ বিজিবির অধিনায়ক থাকাকালে তিনি একজন সহকর্মীর (সৈনিক) জীবন বাঁচাতে নিজেই চালকের আসনে বসে অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। অধিনায়ক হিসেবে সহকর্মীর প্রতি এমন সহানুভূতিশীলতা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এবং বেশ প্রশংসিত হন তিনি।
জানা গেছে, আব্দুল্লাহ আল মোমেন ১৯৯৭ সালে ৩৬ বিএম লং কোর্সে সেনাবাহিনীর পদাতিক কোরে কমিশন লাভ করেন। কর্মজীবনে তিনি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট ও সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। শান্তিরক্ষা মিশনে লাইবেরিয়া ও গণতান্ত্রিক কঙ্গোতে কাজ করেন এই সেনা কর্মকর্তা।