themeswala
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/swadhin/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বিশেষ প্রতিনিধি:
ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর এফ হোসেন বলেছেন, ‘গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক খাতের দূরাবস্থার সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তবে দূরাবস্থার প্রকৃত চিত্র প্রকাশ হয়নি। আমাদের ধারণার চেয়ে ব্যাংক খাতের অবস্থা বেশি খারাপ।’
বুধবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত সেমিনারে তিনি এমনটি বলেন। সিপিডি নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন সেমিনার পরিচালনা করেছেন।
সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ‘ব্যাংকিং সেক্টর গত ১৪-১৫ বছরে অনেক খারাপ অবস্থায় চলে গেছে। ব্যাংকগুলো স্বাধীনভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারত না। তাদের কি করতে হবে তা নির্ধারণ করে দেওয়া হত। বিদেশে গেলে সফরসঙ্গী কারা হবে, কাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে সব ঠিক করে দেওয়া হতো। কিন্তু ব্যাংকিং খাতের উন্নয়ন হবে এমন কিছু করে দেওয়া হতো না। ফলে ব্যাংকিং সেক্টরের সব কিছুই ফলস করেছে।’
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের আশু করণীয় হলো মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করা। আন্দোলনে অন্তত ৭০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। হাজার হাজার ব্যক্তি আহত হয়েছেন। কতগুলো ফৌজদারি অপরাধ হয়েছে। এরও বিচার হওয়া দরকার। অর্থনৈতিক অপরাধ হয়েছে, তারও বিচার হওয়া দরকার। যেনতেন তদন্ত হলে চলবে না, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের সঠিক বিচার করা দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীকে দলীয় থেকে সরকারি বাহিনী করা দরকার। যারা প্রাথমিকভাবে নিপীড়নের দোসর ছিল তাদের বাদ দিয়ে বঞ্চিতদের নিয়ে বাহিনীর সংস্কার করা জরুরি। আরেকটি বিষয় হলো প্রশাসন, সেখানেও সংস্কার জরুরি। পিএসসি পরীক্ষায় অনেকে উত্তীর্ণ হলেও পুলিশ ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে নিয়োগ আটকে দেওয়া হয়েছে। যেকোনো নিয়োগে পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত। উপদেষ্টা পরিষদের সফল হতেই হবে। তারা ব্যর্থ হলে আমরাও ব্যর্থ হয়ে যাব।’
সেমিনারে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নুসরাত তাবাস্সুম বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা সবার আগে ঠিক করা দরকার। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্কার প্রয়োজন। সবচেয়ে বেশি গোয়েন্দা বিভাগের দিকে নজর দেওয়া উচিত। আমাদের যখন নেওয়া হয়, তখন গোয়েন্দা বিভাগের দুর্নীতি নজরে এসেছে। একটা আয়না ঘরের খবর জেনেছি। গোয়েন্দা বিভাগে আর কোনো আয়না ঘর আছে কি না সেটা দেখা দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট সবচেয়ে খারাপ হাতিয়ার। ওই সময়ে অনেক জঘন্যতম অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আইটি সেক্টরে। আমাদের এমন সিস্টেম থাকা দরকার, কোনো সরকারই যেন ক্যাডার বাহিনী তৈরি না করতে পারে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা এমন সিস্টেম তৈরি করেন যাতে কেনো দল বা সরকার ক্যাডার বাহিনী তৈরি করতে না পারে।’