শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
ফাইজারের টিকা দেশে পৌঁছাবে আজ
Update : রবিবার, ৩০ মে, ২০২১, ৮:০৪ পূর্বাহ্ন

স্বাধীনতা টিভি বাংলা: জাতিসঙ্ঘের টিকাজোট কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া ফাইজার বায়োএনটেকের টিকার এক লাখ ৬২০ ডোজ দেশে আসছে আজ রোববার । স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডা. শামসুল হক বলেন, রোববার রাত ১১টা ২০ মিনিটে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ফাইজারের এ টিকার প্রথম চালান দেশে পৌঁছাবে।

তবে কাদের এ টিকা দেয়া হবে, কবে নাগাদ টিকা প্রয়োগ শুরু হবে জানতে চাইলে শামসুল হক বলেন, এসব এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। টিকাদান সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন।

এর আগে গত ১৯ মে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বরাত দিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম বলেন, ‘জুনের ২ তারিখে গ্যাভির কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে ফাইজারের অন্তত এক লাখ ছয় হাজার কভিড ভ্যাক্সিন বাংলাদেশে পাঠাবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। টেলিফোনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।’

তবে গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায় ২ জুনের আগেই ৩০ মে এ টিকা আসছে।

দরিদ্র দেশগুলোর টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিতে গঠিত আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনের (গ্যাভি) কাছ থেকে ফাইজারের এ টিকা আসছে। প্রাণঘাতী ও সংক্রামক ব্যাধি থেকে দরিদ্র দেশগুলোর শিশুদের জীবনরক্ষায় টিকা প্রদানে ভূমিকা রাখা গ্যাভি বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ৯২টি দেশকে করোনাভাইরাসের টিকা সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। দরিদ্র দেশগুলোর টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে গঠন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স।

কোভ্যাক্স’র পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো কভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ছাড়াও উদ্যোগটির সঙ্গে রয়েছে কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশন ও দাতব্য সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই)। এ উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে, ভ্যাকসিন মজুত করে না রেখে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সর্বোচ্চ ঝুঁকির দেশগুলোতে তা বণ্টন করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারকে উৎসাহিত করা।

বাংলাদেশ করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় ১৩ কোটির বেশি মানুষকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। কোভ্যাক্স থেকে ছয় কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ।

চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যেই কোভ্যাক্স থেকে টিকা পাওয়া শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিশ্বজুড়ে টিকার সংকট তৈরি হওয়ায় তা পিছিয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাসের টিকা দুই ডোজই সম্পন্ন হয়েছে এখন পর্যন্ত মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র সাড়ে ৩ শতাংশের। আর প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে প্রায় এক কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। দেশকে হার্ড ইমিউনিটির স্তরে নেওয়ার জন্য শুরুতে করোনার টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মানুষকে।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page