টাঙ্গাইলের নাগরপুরে প্রেমের বলি হয়ে জন্মের প্রথম দিনেই প্রাণ গেল এক নবজাতক শিশুর। পৃথিবীর আলো বাতাসই নবজাতকটির জন্য কাল হলো। জন্মের মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতক মা হত্যা করল তার শিশুসন্তানটি।
প্রেমের কারণে জন্ম নেওয়া সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। নাগরপুর উপজেলার বেকড়া ইউনিয়নে এ অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বেকড়া ইউনিয়নের কুমারী মেয়ে (১৮)। শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় দিকে পেট ব্যথা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। ভোররাতে ওই মেয়ে ও তার মা কমপ্লেক্সে টয়লেটে দীর্ঘ সময় অবস্থান করেন। এ সময় হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীরা টয়লেটে শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান।
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মা ও মেয়ে বের হয়ে সিটে আসেন। রোববার সকালে নিয়মিত রোগী পরিদর্শন শেষে ওই মেয়েকে ছাড়পত্র দেন ডা. কাজল পোদ্দার।
সকাল ৯টার দিকে দুজন পথশিশু হাসপাতালের ড্রেনে নবজাতক শিশুটি দেখে লোকজন ডাকে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে নাগরপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ নবজাতক শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।
শনিবার রাতে কর্মরত নার্স সোনিয়া বলেন, সন্তান প্রসবের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, ওই মেয়েটি তার গর্ভবতী বিষয়টি গোপন রেখে পেট ব্যথার কথা বলে ভর্তি হয়। রোববার সকালে ছাড়পত্র নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে ড্রেনে নবজাতক শিশুর লাশ পড়ে থাকার সংবাদ শুনে নাগরপুর থানাকে অবহিত করি।
এ বিষয়ে নাগরপুর থানার ওসি সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ড্রেন থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়েটিসহ তার পরিবারের লোকজনদের নবজাতক শিশুর মৃত্যুর বিষয়ে জানার জন্য থানায় আনা হয়েছে।