গাজীপুরের শ্রীপুরে ঘাতকের নির্মমম নির্যাতনে প্রান হারিয়েছে রানা (২৭)। ঘটনার চারদিন পরও ঘাতকরা গ্রেফতার না হওয়ায় উৎকন্ঠায় রয়েছে রানার বাবা-মা। রানা হত্যাকান্ড ঘটনা ঘটেছে উপজেলা কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের পিয়ার আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব পার্শ্বে। খুনিদের গ্রেফতারের দাবীতে রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে রানার লাশ নিয়ে এলাকাবাসী বিক্ষোব মিছিল ও মানববন্ধন করে।
রানা হত্যা কান্ড মামলায় অভিযুক্তরা হলো-মাওনা গ্রামের আ: করিমের ছেলে শিপন (২৮), আকাশ (২৫) মৃত খোকা মেকারের ছেলে উজ্জল (৪৫), সিরাজুল ইসলামের ছেলে শওকত (৩০), কাশেম এর ছেলে ইমন (৩০), মৃত ওদর আলী বাইদার ছেলে মোশারফ (৫০)।
জানা যায়, শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে শিপন বাহীনি রানাকে তুলে নিয়ে রাতভর নির্মম নির্যাতন চালায়। ঘাতকরা রানার শরীরের বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক সর্ট দেয়। গোপনে রড ডুকিয়ে দেয়। ড্রিল মেশিন দিয়ে ছিদ্র করে পায়ের হাড়। হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভেঙ্গে ফেলে বুকের পাঁজর, হাত-পা। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬ টায় খবর পেয়ে রানার বাবা-মা ঘটনাস্থলে যান।
দেখতে পান শিপনের ভাঙ্গারীর দোকানের সামনে অচেতন হয়ে পড়ে আছে রানা। তাকে উদ্ধার করে দিনভর বিভিন্ন হাসপাতালে ছুটা ছুটি করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। রাত ৮ টার দিকে ঢাকা হাসপাতালে
রানার মৃত্যু হয়। পর দিন রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় লাশ নিয়ে আসা হয় রানার গ্রামে। এ সময় এক হৃদয় বিধারক দৃশ্যের অবতারনা
হয়। ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী রানার লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে। এদিকে রানা হত্যাকান্ডের চার দিন পরও রানার খুনিরা গ্রেফতার না হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষুভের সৃষ্টি হয়েছে। রানার বাবা আমিনুল ইসলাম জানান, খুনিরা তার এক মাত্র ছেলেকে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনার চার দিনেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। মামলায় অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হওয়ায় তিনি পরিবার নিয়ে উৎকন্ঠায় আছেন।
মামলার তদন্তকর্তা শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক অহিদুজ্জামান জানান, মামলার আসামীরা সকলেই পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারকরতে অভিযান অব্যাহত আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাহাদের আইনের আওতায় আনা হবে।