দেওয়ান মোঃ সামান উদ্দিন ।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গ্রাম বাংলা বিদ্যালয়ের উদ্যোগে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার পশ্চিম চন্দ্রায় বিদ্যালয়ের সংলগ্ন মাঠে এই পিঠা অনুষ্ঠিত হয়। । বাঙালি প্রাচীনকাল থেকে প্রধান খাদ্যের পরিপূরক মুখরোচক অনেক খাবার তৈরি করে আসছে। তবে পিঠা সর্বাধিক গুরুত্বের দাবিদার। শুধু খাবার হিসেবেই নয় বরং লোকজ ঐতিহ্য এবং নারীসমাজের শিল্প নৈপুণ্যের স্মারক রূপেও পিঠা বিবেচিত হয়। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। যখনই পিঠা-পায়েস, পুলি কিংবা নাড়ুর কথা উঠে তখনি যেন শীত ঋতুটি আমাদের চোখে ও মনে ভেসে ওঠে। প্রতি শীতেই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা পুলির উৎসব।বাঙালির লোক ইতিহাস ও ঐতিহ্যে পিঠা-পুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বহুকাল ধরে। এটি লোকজ ও নান্দনিক সংস্কৃতিরই বহি:প্রকাশ। যান্ত্রিক সভ্যতার এই ইট-কাঠের নগরীতে হারিয়ে যেতে বসেছে পিঠার ঐতিহ্য। সময়ের স্রোত গড়িয়ে লোকজ এই শিল্প আবহমান বাংলার অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠলেও এ যুগে সামাজিকতার ক্ষেত্রে পিঠার প্রচলন অনেকটাই কমে এসেছে। পিঠা উৎসবের শুভ উদ্ভোধন করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আনন্দ কুমার দাস ।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ ,উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার আব্দুস সাত্তার, উপজেলা প্রকৌশলী বিপলব পাল ,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সারোয়ার আলম,মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংক বাড়ই পাড়া শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ আমিনুল ইসলাম গ্রাম বাংলা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক নাজমুল হক ,বেগম সুফিয়া মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শামসুল আলম,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারী হাইস্কুলের সিনিয়র শিক্ষক বশির আহম্মেদে সহ স্কুলের ছাত্র,ছাত্রী ও অভিবাভক বৃন্দ।