গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শিউলি আক্তার (৫৩) নামে এক গৃহবধূর শরীরে তরল জাতীয় দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপের অভিযোগে তার স্বামী মেছের আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে তাকে কালিয়াকৈর পৌরসভার লতিফপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত মেছের আলীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের পর তাকে সোমবার গাজীপুর কোট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত স্বামী মেছের আলী গৃহবধূ শিউলি আক্তারকে বিবাহের পর থেকেই যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল।
মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম বিদ্যুৎ জানান, এর আগে আমার বোনের সুখের কথা ভেবে আমার বাবা বিভিন্ন সময় তাকে ২৫ লাখ টাকা যৌতুক প্রদান করেছে। এরপরও সে আমার বোনের কাছে আরও টাকা দাবি করে। এক পর্যায়ে টাকা না দেয়ায় স্ত্রী সন্তানদের বাসা থেকে বের করে দেয় মেছের আলী। এঘটনায় শিউলি আক্তার আদালতে সিআর মামলা করে। আদালতে মামলার পর মেছের আলী ও তার ছোট ভাই নুর ইসলাম (নুরু) মামলা তুলে নেয়ার জন্য শিউলকে নানা রকম ভয় ও হুমকি দেয়। এ ঘটনার পর শনিবার সকালে মেছের আলী ও তার ভাই নুরু একটি মোটরসাইকেল যোগে গোয়ালবাথান এলাকায় শিউলির বাবার বাড়ির পাশে এসে তাকে ডেকে নিয়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবি করে। এসময় শিউলি মামলা প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করলে শিউলির স্বামী মেছের আলী ক্ষুব্ধ হয়ে শিউলির শরীরে তরল জাতীয় দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এসময় তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে।
কালিয়াকৈর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত মেছের আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামি নুরুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।