গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনিতে বকুল মিয়া (৩৫) নামে এক যুবক নিহত ও লিটন মিয়া (৩০) নামে এক যুবক আহত হয়েছে। অপরদিকে চোরের ছুরিকাঘাতে সোহেল রানা (২৮) নামে এক যুবক আহত হয়। রবিবার গভীর রাতে উপজেলার নিশ্চিন্তপুর ও বড়চালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বকুল মিয়া নাটোর জেলার সিংড়া থানার কদমা গ্রামের মোহম্মদ আলীর ছেলে ও আহত লিটন কুড়িগ্রাম জেলার, কুড়িগ্রাম থানার, ডাকবাংলা গ্রামের মোঃ তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে বলে থানা সূত্রে জানা যায়।
জানা গেছে, রবিবার গভীর রাতে ৪/৫জনের একদল গরুচোর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামেরে কৃষক আবুল বাশারের বাড়ির গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে গরু চুরির চেষ্টা করে। এসময় বাড়ির লোক জনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে চোরদের ধাওয়া করে লিটন মিয়া নামে এক চোরকে ধরে গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখে এবং বাকী চোরেরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এখবর পেয়ে পার্শ্ববতি বড় কাঞ্চনপুর গ্রামের কৃষক মোঃ রফিক মিয়ার পুত্র সোহেল রানা তার প্রতিবেশি মনিরকে সাথে নিয়ে একটি মটর সাইকেল যোগে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে কাঞ্চনপুর বড়চালা এলাকায় পৌছালে রাস্তার পাশে এক যুবককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। পরে মোটরসাইকেল থামিয়ে ওই যুবকের নাম-ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে সে কোন উত্তর না দিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পিছন থেকে ধাওয়া করে সোহেল তাকে জাপটে ধরে ফেলে। এসময় চোরের এলোপাতাড়ি ছুড়িকাঘাতে সোহেল রানা আহত হয়। তাদের ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এসে চোরকে এলোপতাড়ি গণধোলাই দিলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল নিশ্চিন্তপুর থেকে গণধোলাইকৃত লিটন ও বড়চালা থেকে বকুলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর কর্তব্যরত ডাক্তার বকুলকে মৃত ঘোষণা করেন। চোরের ছুড়িকাঘাতে আহত সোহেল রানাকে মূমূর্ষ অবস্থায় মির্জাপুর কুমুদিনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আকবর আলী খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।