বিশেষ প্রতিনিধি:
সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সমাজের প্রতিষ্ঠিত ১০ সন্তানের মাকে সম্মাননা দিয়েছে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। প্রতিবারের ন্যায় এবারও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে মায়েদের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেয়া হয়।
রবিবার (১৪ মে) রাজধানীর মহাখালীর একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ আয়োজনের গণমাধ্যম সহযোগী ছিলো দৈনিক বণিক বার্তা। মায়ের একজন সন্তানও সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিশেষ অবদান রাখলে, তবে সেই সন্তানের মাকে ‘গরবিনী মা’ হিসেবে বিশেষ সম্মাননা দেয় মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ২০১৪ সাল থেকে মেডিকেল কলেজটির সামাজিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই সম্মাননা দিয়ে আসছে। এবার দশম বারের মতো আয়োজন করা হয় ‘গরবিনী মা-২০২৩’ সম্মাননা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করে দেখেছি, মায়েদের প্রতি, নারীদের প্রতি তার অতুলনীয় একটা আনুগত্য রয়ে গেছে। আমরা যখন ক্যাবিনেটে বা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কোনো প্রকল্প উত্থাপন করি, তখন লক্ষ্য করেছি মেয়েদের প্রতি, মায়েদের প্রতি তার টান আছে। কোনো কাগজ আসলেই জিজ্ঞেস করবে মেয়েদের কি ভূমিকায় আনছো? সে প্রকল্প হোক বা অন্য কিছু হোক।
তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের জন্য আমরা বিশ্বের স্বীকৃতি অর্জন করেছি। এই অর্জন সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কারণে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, মা চিরকালই সন্তানের আশ্রয় ও ছায়া হয়ে থাকে। সন্তানকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মায়ের ভূমিকা তার তুলনা পৃথিবীর আর কিছুর সঙ্গে করা যাবে না।
গেস্ট অব অনারের বক্তব্যে এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি আমিন হেলালি বলেন, আমাদের চলার পথে যে নীতিবোধ শিখি তা মায়ের কাছ থেকে শেখা। মায়েদের শেখানো পথেই আমরা আজীবন হেটে যাই।
সভাপতির বক্তব্যে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী বলেন, আমাদের সবচেয়ে বেশি দোষ ধরেন, সমালোচনা করেন আমাদের মা। একবার মাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তিনি কেন আমার সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করেন। তিনি জবাব দিলেন, ভুল ধরি তোমার ভালোর জন্য।
সম্মাননা পেলেন যারা
এবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সমাজের প্রতিষ্ঠিত ১০ জন নাগরিকের মাকে ‘গরবিনী মা-২০২৩’ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
তারা হলেন- যশোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলমের মা ফিরোজা বেগম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক-২ মো. শহীদুল ইসলামের মা রাবেয়া খাতুন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমানের মা সাহেদা রহমান, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত খ্যাতিমান কিডনি প্রতিস্থাপন সার্জন ও প্রখ্যাত ইউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলামের মা অধ্যাপক রহিমা খাতুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং আইসিটি সেলের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আসিফ হোসেন খানের মা রওশন আরা বেগম, দৈনিক কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মার মা চঞ্চলা রানী শর্মা, অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশার মা শাহীন মাহফুজা হক, অভিনেতা ও অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক এম এম কামরুল হাসান রওনকের (রওনক হাসান) মা সামসুন্নাহার মজুমদার, কণ্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক মোহাম্মাদ মাহমুদুল হক ইমরানের মা সেলিনা হক এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক চন্দ্রশেখর চৌহানের মা মিনা চৌহান।