রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
অনলাইন জুয়া ও ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রি করার অভিযোগে প্রীতম নামে এক শিক্ষার্থী আটক
/ ২৬১ Time View
Update : শুক্রবার, ৫ মে, ২০২৩, ৯:২৩ পূর্বাহ্ন

সিনিয়র রিপোর্টার:

অনলাইন জুয়া ও ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রি করার অভিযোগে আব্দুর রউফ প্রীতম (২১) নামে এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)।

এনএসআই জানিয়েছে, অভিযুক্ত প্রীতম ২০১৭ সাল থেকে বিভিন্ন পরীক্ষা চলাকালে ভুয়া প্রশ্নপত্র এডিটিংয়ের মাধ্যমে মূল প্রশ্নপত্রের মতো তৈরি করে প্রতারণা করে আসছিল।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে রাজধানীর বালুঘাট এলাকা থেকে তাকে আটক করে এনএসআই সাইবার ইন্টেলিজেন্সের একটি টিম। আটকের সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইলটি জব্দ করা হয়।

এনএসআইয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রীতম নওগাঁর বদলগাছি থানার ব্যাশপুর গ্রামের মো. হারুনুর রশীদের ছেলে। সে পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর বালুঘাট এলাকায় বসবাস করত। তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রীতম প্রতারণার জন্য প্রথমে একাধিক ফেসবুক আইডি ও গ্রুপ খুলে চলমান পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে উল্লেখ করে পোস্ট করত। শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করতে তার পোস্টে মূল প্রশ্নপত্রের মতো করে এডিট করা প্রশ্নপত্র সংযুক্ত করে প্রচারণা চালাত। পরে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ইনবক্সে যোগাযোগ করলে প্রশ্নপত্রের জন্য বিকাশ বা নগদে অর্ধেক টাকা (১০০০/২০০০) দাবি করতেন। আর বাকি টাকা প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর দিতে হবে বলে উল্লেখ করা হতো। অর্ধেক টাকা নেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের ব্লক করে দেওয়া হতো। সে একটি ফেসবুক আইডি বেশি দিন ব্যবহার করত না।

এতে আরও বলা হয়, প্রতারণার জন্য বিভিন্ন টেম্পোরারি ই-মেইল অ্যাড্রেসের মাধ্যমে নতুন নতুন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে সেগুলো ব্যবহার করত সে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাকিং নিরোধক বিভিন্ন ভিপিএন ব্যবহার করে আসছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।

এছাড়াও ডিজিটাল ফরেনসিকে প্রীতমের মোবাইলে বিভিন্ন অনলাইন জুয়া ও বেটিং অ্যাপস পাওয়া যায়। প্রতারণার মাধ্যমে উপার্জিত টাকা বিভিন্ন অনলাইন বেটিং (জুয়া) সাইটে নিয়মিত ইনভেস্ট করার প্রমাণ পাওয়া যায়। অনলাইন জুয়া কার্যক্রমে তার সঙ্গে একাধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তার বিকাশ ও নগদে মাসিক লেনদেনের পরিমাণ ১ লাখ টাকারও বেশি। আটক ব্যক্তি নিয়মিত ইমো অ্যাপস দিয়ে টাকার বিনিময়ে ভিডিও সার্ভিস নিতেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভুয়া প্রশ্নপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা অনলাইন জুয়া ও ইমো ভিডিও সার্ভিসে ব্যয় করতেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। সে দীর্ঘদিন অনলাইন জুয়ার সম্পৃক্ত রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page