মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মানিকগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান কম্পননকে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি অফিস পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম আমানুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সদর থানের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম আমানুল্লাহ আরো বলেন, মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউর রহমান কম্পনকে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ এলাকা থেকে গতকাল গ্রেপ্তার হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছাদের পাইপ বেয়ে পালিয়ে নামার সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এতে করে তিনি আহত হলে রংপুর জেলা হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। চিকিৎসা শেষে তাকে মানিকগঞ্জ আনা হবে হবে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল পৌর শাখার আহ্বায়ক ও মানিকগঞ্জ জজকোর্টের আইনজীবী মো. মুরাদ হোসেন গত ২৫ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জ সদর থানায় ৯১জনের নাম উল্লেখ এবং ১৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করেন
মামলায় অন্যান্য আসামীরা হলো- জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল ও কাজী এনায়েত হোসেন টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা ও আমিরুল ইসলাম মট্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক তুষার, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, সদস্য-সচিব মাহাবুবুর রহমান জনি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কৌরাইশী সুমন, সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি বাবুল সরকার, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইস্রাফিল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফছার উদ্দিন সরকার, মানিকগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আরশেদ আলী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক হাসেম আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী রানা, কাজী রাজু আহমেদ বুলবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক খান খালিদ, এনামুল হক রুবেলসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।