মোঃ আমির হোসেন রিয়েল গাজীপুরঃ-গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী বাইমাইল কাদের মার্কেট এলাকায় নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে হুমায়ুন কবির নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এতে তার এক প্রতিবেশী ভবণসহ আশেপাশের মানুষের বসবাস হুমকির মুখে পড়েছে। এ বিষয়ে মো. নুরুল ইসলাম নামে এক ভবন মালিক গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১১.৬৬ শতাংশ জমির উপর মো. হুমায়ূন কবির নামে এক ব্যক্তি ৬ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করিতেছেন। উক্ত ভবনটির নির্মাণ প্রক্রিয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ভবন নির্মাণের সময় ভবনটির সবদিকে ৩ ফিট করে জায়গা ছেড়ে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করার নিয়ম থাকলেও নির্দেশনার তোয়াক্কাই করেননি ভবন মালিক। এছাড়াও ভবনটির উত্তর পাশের নুরুল ইসলামের পৌনে এক শতাংশ জমি দখলে নিয়ে ভবন নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে কথিত এই ইন্জিনিয়ার হুমায়ুন করবিরের বিরুদ্ধে।
সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গিয়েছে ভবনটির নিচ তলার উত্তর পাশে একটি পিলার না থাকলেও ছাদের উপরে রয়েছে সবগুলো পিলার। স্থানীয়রা জানান, এরকম অদ্ভুত ডিজাইনের ভবন আগে কখনো নির্মাণ হতে দেখেনি তারা। যেকোনো মুহূর্তে ভবনটি ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় এলাকাবাসী।
জানা যায়, বাইমাইল মৌজায় খতিয়ান নং এস এ-১১৯ আর এস ২৯৬ এবং এস এ-৮৪, আর এস ৪৩ দাগে মো. হুমায়ুন কবির ১১.৬৬ শতাংশ জমি নজরুল ইসলাম এর কাছ থেকে ক্রয় করেন।
একই দাগে প্রতিবেশি মো. নুরুল ইসলাম ১০.৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন রহিমা ও শিরীনের কাছ থেকে। কিন্তু মো. হুমায়ুন কবির ১১.৬৬ শতাংশ জমি ক্রয় করলেও .৭৬ শতাংশ জমি বেশি দখল করে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ করছেন।
নুরুল ইসলাম বলেন, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী চারিদকে তিনফিট করে জায়গায় ফাঁকা রেখে ভবন নির্মাণ করার বিধান থাকলেও ভবন মালিক হুমায়ন কবির তা মানছেননা। গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিল্ডিং কোড না মেনে অবৈধ ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রভাব খাটিয়ে ভবন নির্মাণ করে চলছেন তিনি।
প্রতিবেশী সুফিয়া বলেন, ভবন করার সময় আমরা বাঁধা দিয়েছি। কিন্তু তিনি কারো কথা শুনেননি। তার নাকি উপরে বড় বড় লোক আছে।
আউয়াল মোল্লা নামে এক প্রতিবেশী বলেন, বিল্ডিংয়ের চারিদিকে এক ইঞ্চি জায়গা তিনি ছাড়েননি। পূর্বের বাউন্ডারি ওয়াল ও কলাম রিপিয়ারিং করেন ভবনের কাজ করছে। তিনি বলেন, যেকোনো সময় রানা প্লাজা ধসের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হুমায়ন কবির এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার সব কাগজ পত্র ঠিক আছে বলে মোবাইল ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মুরাদ বলেন, এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন ভাবেই তিনি নিয়মবহির্ভূত ভাবে ভবন নির্মাণ করতে পারেননা। দুই একদিনের মধ্যে তার বিরুদ্ধে চিঠি ইস্যু করবো।একই সাথে তার চলমান কাজ বন্ধ করা হবে।