শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২১ অপরাহ্ন [gtranslate]
Headline
Wellcome to our website...dd
সদরপুরে প্রকৃত জেলেদের কার্ড না থাকায় সরকারি সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত
/ ১৪ Time View
Update : সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন

সরোয়ার হোসেন, সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ-সরকারি নিবন্ধনে নাম নেই প্রকৃত জেলেদের, পাচ্ছে না জেলে কার্ড। সদরপুরে বর্তমানে যারা মাছ শিকার করে এরকম অসংখ্য জেলেদের জেলেক কার্ড না থাকায় প্রকৃতি ছেলেরা সরকারের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। উল্লেখ্য ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ যখন নদীতে ডিম ছাড়ে তখন ইলিশ শিকার ২২ দিনের জন্য সরকারি ভাবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এই ২২ দিন জেলেরা নদীতে যেতে পারে না। সেই ধারাবাহিকতায় সদরপুর উপজেলার মৎস্য দপ্তর থেকে ১৩ই অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়- বিক্রয় ও বিনিময় সম্পন্ন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই ২২ দিনের জন্য বেকার ছেলেদের পরিবারের কথা চিন্তা করে সরকারিভাবে জেলে কার্ড করে দেওয়া হয় । কিন্তু গত ৯ বছর পূর্বে ২০১৬ সালে যে জেলে কার্ড করা হয় তাই চলমান আছে। এর মধ্যে অধিকাংশ কার্ডধারী জেলে ৫/৬ বছর ধরে মাছ শিকার করে না অনেকে আবার মারাও গিয়েছে। কার্ডধারী জেলেরা সরকারি সহযোগিতায় ২৫ কেজি করে চাল ও বিভিন্ন সময় সময় গরু ছাগল পেয়ে থাকে অথচ বর্তমানে যারা প্রকৃতভাবে মাছ শিকার করে অর্থাৎ প্রকৃত জেলে তারা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কারণ দীর্ঘ কয়েক বছর হল জেলে কার্ড হালনাগাদ করা হচ্ছে না, আবার ৯ বছর আগের করা নিবন্ধনে অনেক ত্রুটি আছে। বিভিন্ন সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে অনেক ভুয়া জেলে কার্ড করা হয়েছে। তাই যারা অরজিনাল জেলে তাদের প্রত্যাশা সঠিক যাচাই-বাছাই করে জেলে কার্ডের হালনাগাদ করা।
বর্তমানে সদরপুরে মোট সুবিধাভোগী নিবন্ধিত জেলে ৬৩৫ জন , এরমধ্যে ঝাটকায় আছে ২৩৭ জন ও মা ইলিশে আছে ৪৯০ জন জেলে।
এই বিষয়ে কথা বলা হয় সদরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস. এম জাহাঙ্গীর কবিরের সাথে ও অকটেরচর ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম বেপারীর সাথে।
সরজমিনে গিয়ে রতন মোল্লা নামে একজন জেলের সাথে কথা বলে তিনি বলেন আমি বিগত ৫-৬ বছর ধরে মাছ শিকার করিনা, তাই আমার কার্ড বাতিল করে বর্তমানে যারা মাছ শিকার করে এরকম জেলেদের কার্ড দিলে আমার কোন আপত্তি নেই। ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞার পরেও অনেক জেলে লুকিয়ে মাছ শিকার করে, আবার অনেকে প্রশাসনের হাতে গ্রেফতার হচ্ছে। তাই প্রশাসনের নজরদারি আরো বৃদ্ধি করা জরুরী। সবাইকে মনে রাখতে হবে ইলিশ মাছ আমাদের জাতীয় সম্পদ।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page