হত্যাচেষ্টা মামলায় ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদ হক সুমনকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
সাবেক সংসদ সদস্য যুবদল নেতা ও মিরপুরের বাঙালিয়ানা ভোজ রেস্তোরাঁর সহকারি বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলার আসামি।
এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ব্যারিস্টার সুমনের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার আদালতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই আব্দুল হালিম। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. জাকির হোসাইন পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের কথা নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন।
মিরপুর মডেল থানার মামলা হলেও গ্রেপ্তারের পর তাকে নেওয়া হয় পল্লবী থানায়।
কারণ হিসেবে পল্লবী থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর ভাঙচুরের শিকার হওয়া মিরপুর থানায় সংস্কারের কাজ চলছে। সেখানে আসামি রাখার জায়গা না থাকায় ব্যারিস্টার সুমনকে পল্লবী থানায় রাখা হয়। সেখান থেকেই নেওয়া হয় আদালতে।
হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টার মামলাটি হয়েছে ২৩ সেপ্টেম্বর। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই জুমার নামাজ শেষে মিরপুর-১০ নম্বরে সমাবেশে যান তিনি। সেখানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। ককটেল বোমা নিক্ষেপ ও গুলিও ছোড়া হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হন হৃদয়।
অভিযোগে নিজেকে হবিগঞ্জের মাধবপুর ১০ নম্বর হাতিয়াইন ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন হৃদয়। তাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় তিন নম্বর আসামি হিসেবে ব্যারিস্টার সুমনের নাম উল্লেখ করেছেন।
সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সায়েদুল হক সুমন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি, তবে পাননি। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে পরাজিত করেন।
জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য এবং বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ফেইসবুকে আলোচনার জন্য সায়েদুল হক সুমন জনপ্রিয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি ব্যারিস্টার সুমন হিসেবেই পরিচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ ডিগ্রি নেওয়া সায়েদুল হক যুক্তরাজ্যে আইন বিষয়ে উচ্চতর লেখাপড়া শেষে ব্যারিস্টার অ্যাট ল ডিগ্রি নেন।