রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
বৈষম্যহীন উন্নয়নে বিআইপির ১১ প্রস্তাবনা 
/ ২৪ Time View
Update : বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:৩৬ অপরাহ্ন

বিশেষ প্রতিনিধি:

বৈষম্যহীন উন্নয়ন এবং টেকসই পরিকল্পনা চর্চায় স্বার্থান্বেষী মহলের আগ্রাসন বন্ধ করতে ১১ প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)। সংস্থাটি বলছে, বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) বাতিলের জন্য একটি গোষ্ঠী উঠে পড়ে লেগেছে।

আজ বুধবার রাজধানীর বাংলামোটর বিআইপি মিলনায়তনে ‘বৈষম্যহীন উন্নয়ন এবং টেকসই পরিকল্পনা চর্চায় স্বার্থান্বেষী মহলের আগ্রাসন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত প্রস্তাবনা তুলে ধরেন বিআইপির সভাপতি নগর-পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান।

প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে:

১. বিগত সময়ে গোষ্ঠীস্বার্থে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার পরিকল্পনায় যেসব পরিবর্তন করা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার সঠিক তদন্ত করে শ্বেতপত্র প্রকাশ করার উদ্যোগ গ্রহণ।

২. পরিকল্পনা, ইমারত নির্মাণ, উন্নয়ন, পরিবেশ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আইন প্রণয়ন ও সংশোধন প্রক্রিয়ায় স্বার্থান্বেষী মহলের প্রভাবের বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনসমূহের প্রয়োজনীয় সংশোধনীর ব্যবস্থা গ্রহণ।

৩. পরিকল্পনা প্রণয়নে স্বার্থসংশ্লিষ্ট মহলের অনৈতিক প্রভাবকে দূর করে পরিকল্পনাবিদদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া।

৪. ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) বাতিলের দাবির মাধ্যমে পরিকল্পনাবিহীন উন্নয়নের পেছনে স্বার্থসংশ্লিষ্ট মহলের ব্যবসায়িক ও গোষ্ঠীস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কার্যকর অনুসন্ধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।

৫. মহাপরিকল্পনাসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় স্বার্থসংশ্লিষ্ট মহলের অবৈধ প্রভাব বন্ধ করা এবং বল প্রয়োগকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া।

৬. অনুমোদিত ভূমি ব্যবহারের ব্যত্যয় করে আবাসন-শিল্প কারখানা গড়ে ওঠার পেছনে গোষ্ঠীস্বার্থের প্রভাব অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।

৭. দেশের পরিকল্পিত ও টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে নগর ও উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাসমূহের পরিকল্পনাবিদ পদসমূহে পরিকল্পনাবিদদের পদায়ন নিশ্চিত করা।

৮. দেশের পরিকল্পিত ও টেকসই উন্নয়ন এবং মহাপরিকল্পনাসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা ও আইনের বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে সম্পৃক্ত আবাসন ব্যবসায়ী, শিল্প কারখানার মালিক, রাজনীতিবিদ, আমলা, স্বার্থসংশ্লিষ্ট পেশাজীবী, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি সংস্থাসমূহের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া।

৯. সঠিক গবেষণার মাধ্যমে নগর এলাকার আবাসনের প্রকৃত চাহিদা নিরূপণ করে প্রয়োজনীয় ভূমির সংস্থান ও আবাসন–সংক্রান্ত কর্মকৌশল নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন ও জাতীয় আবাসন কর্তৃপক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

১০. পরিকল্পনা দলিলকে অনুসরণ করেই যেন অবকাঠামো উন্নয়ন, আবাসন তৈরি, নাগরিক সুবিধাদির সংস্থান হয়; সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ব্যবসায়ী ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের চাপে পরিকল্পনা দলিল ও আইন পরিবর্তন করার অতীত ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করার কোনো সুযোগ নেই।

১১. মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে ও পুনর্মূল্যায়নে শহরের বাসযোগ্যতা, ধারণক্ষমতা, নাগরিক সুবিধাদির সুষম বণ্টন, এলাকাভিত্তিক সাম্য, পরিবেশ-প্রতিবেশ, জলাশয়-জলাধার, কৃষিভূমি-জলাধার রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইপির সাবেক সভাপতি নগর-পরিকল্পনাবিদ আকতার মাহমুদ, ফজলে রেজা সুমন প্রমুখ।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page