themeswala
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/swadhin/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114সিনিয়র রিপোর্টার:
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম ২৮/০৮/২৪ বিকেলে রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের খোজ খবর নেন। এছাড়া স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ এবং ডাক্তারদের সাথে চিকিৎসাসেবা নিয়ে কথা বলেন।
পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমরা এখানে আসলাম এবং দেখলাম পুলিশের অনেক আহত সদস্য চিকিৎসাধীন আছেন। অনেকে পায়ে আহত হয়েছেন। অনেকে মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে এবং আমি যতটুকু তাদের কাছ থেকে শুনেছি তাদের ভালোমতো চিকিৎসা চলছে। এখানে আহত একজন ছাত্র সমন্বয়ক ভর্তি আছেন, তারও এখানে চিকিৎসা চলছে। সরকার থেকে বলা হয়েছে যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের দায় দায়িত্ব সরকার নিবে এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে। এ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে এক হাজারের এর উপর নিহত হয়েছেন এবং ৪০০ এর উপর ছাত্র জনতা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। অনেকের এক চোখ অন্ধ হয়ে গেছে, অনেকে দুচোখেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। আমেরিকার সেবা নামক প্রতিষ্ঠানের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। যাদের চোখ অন্ধ হয়ে গেছে বা চোখে সমস্যা দেখা দিয়েছে আমরা সেবা ফাউন্ডেশনকে তাদের তালিকা পাঠিয়েছি। তারা বলেছে যত শীঘ্রই সম্ভব তারা চিকিৎসার জন্য দেশে ডাক্তার নিয়ে আসবে। ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও দিনাজপুরে তাদের চিকিৎসা হবে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, অনেকে পায়ে আঘাত পেয়েছেন, অনেকের পা কেটে ফেলতে হয়েছে। আমরা বিভিন্ন দাতা সংস্থার সাথে কথা বলছি, বিশ্বব্যাংকের সাথেও আমাদের কথা হয়েছে। যাতে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে ডাক্তারদের টিম নিয়ে আসা যায়। সেটা নিয়ে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
পরিদর্শন কালে হাসপাতাল পরিচালক ডি আইজি শেখ মো: রেজাউল হায়দারসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, ডাক্তার, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।