সিনিয়র রিপোর্টার:
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘থানায় এসে যেন মানুষ সেবা নিতে পারে সে লক্ষ্যে আমি চেষ্টা করবো। যেন সাধারণ মানুষ থানায় আসে এবং সেবাটা পায়। থানাকে সাধারণ মানুষের আস্থায় নিয়ে যেতে চেষ্টা করবো।’
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় গেটে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে আরেকটি জায়গায় পদায়ন করেছে। ডিএমপিতে আমাকে বিস্তৃত পরিসরে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। মানুষের শেষ ভরসাস্থলের জায়গা থানা। থানা যেন মানুষকে সেবা দিতে পারে সে লক্ষ্যে আমি চেষ্টা করবো, যেন সাধারণ মানুষ থানায় আসে এবং সেবাটা পায়। যে কোনো ঘটনায় থানায় গিয়ে জিডি-মামলা করতে পারে। আমি চেষ্টা করবো থানাকে সাধারণ মানুষের আস্থায় নিয়ে যেতে।’
তিনি বলেন, ‘আমি তিন বছর তিন মাস ডিবিতে কাজ করেছি। আপনারা সবসময় আমার পাশে ছিলেন। আমি চেষ্টা করেছি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ মেনে ডিবিকে সাধারণ মানুষের আস্থার দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে।’
চাকরিকালীন ডিবিকে সাধারণ মানুষের কাছে একটা আস্থার জায়গায় পরিণত করেছেন মন্তব্য করে সদ্য সাবেক ডিবিপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ তথা বিশ্বের মানুষ জানে কারও কোনো সমস্যা হলে ডিবিতে গেলে প্রবলেম সলভ হতে পারে। এই মনে করে অসংখ্য মানুষ আমাদের কাছে আসছে। আমরা চেষ্টাও করেছি তাদের কাজটা সুন্দরভাবে করে দেওয়ার। যার কারণে সাধারণ মানুষ ডিবির নামটা জানে। আমি চেষ্টা করেছি ডিবিকে একটা আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে।’
এক প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ডিবিতে থাকাকালীন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। মতিঝিলে আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে এমপি আনার হত্যার মামলাসহ অসংখ্য খুনের ঘটনায় নির্ভুলভাবে তদন্ত করে সাক্ষ্যপ্রমাণ নিয়ে মামলার ক্লু বের করেছি। আমরা কোনো নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করিনি। আর প্রভাবশালী ব্যক্তি যত বড় ক্ষমতাসীন হোক না কেন জড়িত থাকলে তাকেও ছাড় দেইনি।’
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নাশকতা-সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডে মামলা হয়েছে। কেউ যদি নির্দোষ প্রমাণিত হয় তাদের গ্রেফতার করা হবে না। যারা ঘটনার সঙ্গে প্রকৃতিপক্ষে জড়িত, যারা আগুন লাগিয়েছে, মেট্রোরেলে ভাংচুর-অগ্নিকাণ্ড করেছে, রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি ভবনে আগুন লাগিয়েছে ও পুলিশ সদস্যকে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে- এসব ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
এর আগে বুধবার (৩১ জুলাই) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের সই করা এক অফিস আদেশে ডিবি থেকে হারুন অর রশীদকে ডিএমপি সদর দপ্তরের ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগে বদলি করা হয়।
২০২২ সালের ১৩ জুলাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান হারুন অর রশীদ।