বিশেষ প্রতিনিধি:
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে মেট্রোরেল, বিটিভিসহ বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংসের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে দেশবাসীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘যারা এসবের সঙ্গে জড়িত, সারাদেশের আনাচে–কানাচে যে যেখানে আছেন তাদের খুঁজে বের করুন। তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে সহযোগিতা করুন। আমি দেশবাসীর কাছে সে আহ্বান জানাই।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন পরিদর্শন শেষে শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে এ কথা বলেন তিনি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশবাসীকে বলবো, ঢাকাবাসীকে বলবো, যাদের জন্য আজ আপনাদের এই দুর্ভোগ, যারা ধ্বংস করলো, যাদের জন্য আজ বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, আমি তাদের বিচারের ভার এদেশের জনগণের ওপরই দিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘যারা এদেশের মানুষের রুটি-রুজির ওপর হাত দিয়েছে, রুটি-রুজির পথ বন্ধ করে দিয়েছে; তাদের বিচার জনগণকেই করতে হবে। কারণ, এদেশের জনগণই একমাত্র শক্তি।’
কেউ মিথ্যাচার চালিয়ে যেন বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে কাউকে যেন বিভ্রান্ত করতে না পারে। (সবাই) আসল সত্যটা জানুক।’
পরিদর্শনকালে বিটিভির মহাপরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিটিভি ভবনে হামলার একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। পাশাপাশি বিটিভি সদর দপ্তর ও বিটিভি ভবনে ভাঙচুরের একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এসময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খন্দকার এবং প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম. নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৮ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর রামপুরায় বিটিভির প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা কার্যালয়ের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে তারা ভেতরে থাকা মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে আগুন দেন। ভবনের ভেতরেও ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপর বিটিভির সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়।
এ ঘটনায় করা মামলার এজাহারে জানানো হয়েছে, হামলায় বিটিভির ৫০ কোটি টাকার সমপরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মামলার পর বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ ২০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে আমীর খসরুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।