themeswala
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/swadhin/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বিশেষ প্রতিনিধি:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চায় বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত পনেরো বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। এর ফলে অনেক কর্মসংস্থান হয়েছে। অনেক মানুষ এখানে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। তবে এর একটি নেতিবাচক দিক হচ্ছে, কিছু অপেশাদার সাংবাদিক তৈরি হওয়ায় পেশাদার সাংবাদিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সরকার চায় হঠাৎ করে কোনো নোটিশ ছাড়াই যাতে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করা না হয়, একইভাবে কোনো নোটিশ দেওয়া ছাড়াই কোনো সাংবাদিক যেনো চাকরি ছেড়ে না দেন। গণমাধ্যমে সরকার ন্যায্যতার জায়গা নিশ্চিত করতে চায়।
সাংবাদিক, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা সরকারের উদ্দেশ্য নয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য থাকলে সরকার গণমাধ্যমের সংখ্যা বৃদ্ধি করতো না। তবে সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষা দেওয়া, যাতে যে কেউ মন চাইলেই সাংবাদিকতায় আসতে না পারে। যাতে অপেশাদার সাংবাদিকদের অপসাংবাদিকতার দায় পেশাদার সাংবাদিকদের নিতে না হয়।
এ সময় তিনি আরো বলেন, সরকার চায় পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকতার অনুশীলন সুরক্ষিত হোক। এই লক্ষ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে সকল অংশীজনদের সাথে নিয়ে সরকার কাজ করবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, গণমাধ্যম কর্মী আইনে ইলেকট্রনিক প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমসহ সব গণমাধ্যমকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এটি সর্বজনীন একটি আইন হবে। এ আইনে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সবাই চাকরি কালে সুরক্ষা পাবেন। এ আইনের আওতায় শ্রম আইনের সব সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, সরকার সত্যিকার অর্থেই চায়, গণমাধ্যম একটা শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াক, যে গণমাধ্যম সরকারের ভুল ও ব্যর্থতাকেও তুলে ধরবে। প্রকৃত সমালোচনা সরকারকে তার ভুল সংশোধন করতে সাহায্য করে। আমরা গঠনমূলক সমালোচনাকে ভয় করি না, কিন্তু মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা অপছন্দ করি।