সুব্রত ঘোষ, বগুড়াঃ
পূন্য অর্জন করতে এসে নিমিষেই নিভে গেলো ৫ টি তাজা প্রান। হিন্দু শাস্ত্র মতে আজ হিন্দু ধর্মালম্বীদের ছিল জগন্নাথ দেবের রথ যাত্রা। সেই রথ যাত্রার আয়োজন করে বগুড়ার সেউজগাড়ীতে অবস্থিত ইসকন মন্দির। এই রথ যাত্রায় অংশ নেয় বগুড়ার শত শত ধর্মপ্রান মানুষ। রথচলা শুরু হলেই শুরু হয় বিপত্তি। বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে আহত ৩৭ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
৭ জুলাই রবিবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে বগুড়া শহরের সেউজগাড়ী আমতলা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ চক্রবর্তী দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকা কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ইসকন কমপক্ষের সাথে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তারা কোন মন্তব্য করতে রাজি হয় নি।৷ নিহতরা হলেন অলোক সরকার (৪০), অতশী রানী (৪০), রঞ্জিতা মোহন্ত (৬০), নরেশ মোহন্ত (৬৫) এবং অজ্ঞাত দুই নারী। তারা শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকাল ৫টার দিকে বগুড়া শহরের সেউজগাড়ী ইসকন মন্দির থেকে রথযাত্রা শুরু হয়। বিকাল সোয়া ৫টার দিকে সেউজগাড়ী আমতলা মোড় এলাকায় পৌঁছালে রথের চূড়াটি সড়কের ওপর দিয়ে যাওয়া উচ্চ ভোল্টের বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে আসে। এতে আগুন ধরে যায়। এ সময় রথের ওপরে এবং নিচে বসে থাকা অন্তত ২৫ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হন। তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৫ জনকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক। বাকিদের চিকিৎসা চলছে। পাঁচ জনের মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে জড়ো হন স্বজনরা। বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ চক্রবর্ত্তী দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা কে বলেন, ‘রথের চূড়াটি বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে এলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চার জন ও মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে একজন মারা যান। তাদের পরিচয় জানা যায়নি। আমরা বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে তিনি জানান।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘আহত অবস্থায় ৪১ জনকে আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছে। এর মধ্যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ৩৫ জন কমবেশি দগ্ধ হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে। বাকি দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাদের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। দগ্ধদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা।