themeswala
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/swadhin/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বিশেষ প্রতিনিধি:
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের কর অব্যাহতির মেয়াদ তিন বছর বৃদ্ধি করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছে এ খাতে স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য নীতিগত সহায়তার প্রয়োজন বলে মনে করেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা।
রোববার (০৯ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বেসিস মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশেন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, আইএসপিএবি সভাপতি মো. ইমদাদুল হক এবং ই-ক্যাব-এর সহ-সভাপতি সৈয়দা আম্বারীন রেজা উপস্থিত ছিলেন।
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কর অব্যাহতির মেয়াদ তিন বছর বৃদ্ধি শুধুমাত্র তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে অবদান রাখবে তা নয় বরং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এটি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, ব্যাংকিং ব্যবস্থা, রপ্তানিমুখী উৎপাদনশিল্পসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিউক্লিয়াসের ভূমিকা পালন করবে।
যা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত এবং জ্ঞানভিত্তিক ক্যাশলেস অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং উদ্ভাবনের একটি নতুন জোয়ার সৃষ্টি করবে বলে আমরা আশা করি।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের ক্লাউড সার্ভিস এবং ওয়েব হোস্টিং এর ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজারের মাত্র ১০ শতাংশ দেশীয় উদ্যোক্তাদের হাতে রয়েছে।
নতুন করে একে করের আওতায় আনা হলে তা দেশীয় উদ্যোক্তাদের নিরুৎসাহিত করবে। ওয়েব হোস্টিং ও ক্লাউড সার্ভিসেসের স্থানীয় বাজার যেভাবে বাড়ছে যাচ্ছে তাতে বাংলাদেশি তথ্যপ্রযুক্তি ও পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে উদ্বুদ্ধ করতে এ দুটি খাতকে কর অব্যাহতির আওতায় অবশ্যই রাখা প্রয়োজন।
পাশাপাশি, হাই-টেক পার্কের বিনিয়োগকারীরা তাদের বর্তমান শুল্কমুক্ত সুবিধা হারিয়ে প্রায় সব ক্যাটাগরির মূলধনি যন্ত্রপাতির ওপর এক শতাংশ আমদানি শুল্কের মুখোমুখি হতে পারেন। এটি পুনর্বিবেচনা করে হাই-টেক পার্কের বিনিয়োগকারীদের জন্য বর্তমান শুল্কমুক্ত সুবিধা বহাল রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, বাজেটে ক্লাউড সার্ভিস, আইটি প্রোসেস আউটসোর্সিং, মেডিকেল ট্রান্সক্রিপশন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন এবং এনটিটিএন সেবার মতো খাতগুলো থেকে কর অব্যাহতির বিষয়টি তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে। অন্যদিকে মোবাইলের সিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবায় সম্পূরক শুল্ক পাঁচ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করায় মোবাইল ইন্টারনেট সেবার ব্যয় বাড়বে। মোবাইল ইন্টারনেট এবং প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেটের সম্প্রসারণ ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জন করা সম্ভব নয়।
আইএসপিএবির সভাপতি মো. ইমদাদুল হক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও আইএসপি প্রতিষ্ঠানের সব সেবাকে আইটিইএস এর অন্তর্ভুক্তি না করা, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ১০ শতাংশ এআইটি ও অন্যান্য খাতে বর্তমানে ৩৭ শতাংশ আরোপিত ভ্যাট ও শুল্ক এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যবহৃত সব সামগ্রীর ওপর শুল্ক না কমায় ইন্টারনেট সেবার প্রসার ও ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি বাধাগ্রস্ত হবে। একই সঙ্গে ইন্টারনেটের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে ও প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের জন্য ২০২৪-২৫ সংশোধিত বাজেটে আইএসপি প্রতিষ্ঠানের সব সেবাকে আইটিইএস এর অন্তর্ভুক্তি করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
ই-ক্যাব সহ-সভাপতি সৈয়দা আম্বারীন রেজা বলেন, ডিজিটাল ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সহায়ক খাত ওয়েবসাইট হোস্টিং ও ক্লাউড সার্ভিস। বর্তমানে দেশের এই খাতটি এখনো বৈদেশিক সেবা নির্ভর। এ খাতে দেশীয় সেবার বিকাশের জন্য প্রতিযোগিতামূলক দাম ও সেবা নিশ্চিত করতে আগামী বছরগুলোতে কর অব্যাহতি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আরেকটি সহায়ক ও অঙ্গীভূত খাত হলো লজিস্টিক খাত। ই-কমার্স ও স্মার্ট লজিস্টিক সেবা বিস্তৃত করতে লজিস্টিক খাতের বর্তমান ভ্যাট প্রত্যাহার করা প্রয়োজন। কারণ এতে করে অনলাইনে বিক্রিত পণ্য সেবা এবং প্রচলিত দোকানের পণ্য সেবায় দামের পার্থক্য তৈরি হয়। এতে করে অনলাইন পণ্য সেবার উদ্যোক্তারা লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড পান না। তাই ই-ক্যাবের প্রস্তাবনা অনুসারে যেসব প্রতিষ্ঠান নিজস্ব পণ্য সেবা ডেলিভারি করে তাদের ক্ষেত্রে ভ্যাট প্রত্যাহার এবং যেসব প্রতিষ্ঠান তৃতীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য এ সেবা দেয় তাদের জন্য ন্যূনতম পাঁচ শতাংশ ভ্যাট হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল পেমেন্টকে উৎসাহিত করতে এ সেক্টরে পেমেন্ট চার্জ সমমানের ন্যূনতম দুই শতাংশ ক্যাশ ইন্সেটিভ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। যেহেতু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পেমেন্ট চার্জ কেটে রেখে অবশিষ্ট টাকা ই-কমার্স ও আইটি প্ল্যাটফর্মকে ফেরত দেওয়া হয়, তাই উৎসে কর কর্তনের কোন সুযোগ নেই। এ পরিস্থিতিতে, পেমেন্ট গেটওয়ে চার্জকে উৎসে কর কর্তন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করার আহ্বান জানাচ্ছি।