themeswala
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/swadhin/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত আক্তারুজ্জামান শাহীন ও শিলাস্তি রহমানের কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনে অবস্থান করার একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ হয়েছে। ভিডিওটি গত ৩০ এপ্রিলের।
এতে দেখা গেছে, ট্রলিব্যাগসহ আক্তারুজ্জামান শাহীন ও শিলাস্তি রহমান অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে আসছেন। এ সময় দুজনকে বেশ তাড়াহুড়ো করতে দেখা গেছে।
এদিকে, গত ১৩ মে কলকাতার নিউ টাউনের একটি অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাটে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন এমপি আনার। তাকে হত্যার পর কীভাবে মরদেহ গুম করার চেষ্টা চালানো হয়েছে—সেসব তথ্য এখন সামনে আসছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিন্ট শুক্রবার (২৪ মে) পুলিশের বরাতে জানিয়েছে, এমপি আনারকে হত্যা ও তার মরদেহ টুকরো টুকরো করার পর সেটির পাশে বসেই খাবার ও মদ খায় হত্যাকারীরা।
পুলিশের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, হত্যার পর আনারের মরদেহ ফ্ল্যাটের বাথরুমে নেওয়া হয়। সেখানেই বসে টুকরো টুকরো করা হয় তাকে। বাথরুমে যেন হত্যার কোনো আলামত না থাকে সেজন্য কয়েকবার পানি এবং ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে এটি পরিষ্কার করা হয়।
এদিকে আনারকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশে যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ তাদের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রে আছেন শিলাস্তি রহমান।
অপরদিকে ব্যবসায়িক লেনদেনের সম্পর্কে কিছু বিষয়ে এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের ওপর ক্ষোভ ছিল তার বন্ধু ও হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের। এছাড়া গ্রেপ্তার আসামি শিমুল ভুইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূইয়া ওরফে আমানুল্লা সাইদের সঙ্গে মতাদর্শগত পার্থক্য ছিল আনারের। তাই উভয়ে আনারকে দেশের বাইরে নিয়ে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন। ডিবির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা জানিয়েছেন আসামিরা।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার দর্শনা-গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি তার ভারতীয় ঘনিষ্ট বন্ধু পশ্চিমবঙ্গের উত্তর২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার অন্তর্গত ১৭/৩ মণ্ডলপাড়া লেনের বাসিন্দা স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। পরদিন ১৩ মে দুপুরে চিকিৎসক দেখানোর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান। কিন্তু সন্ধ্যায় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। এরপর গত ২২ মে কলকতার নিউ টাউনের একটি ফ্ল্যাটে তার খুন হওয়ার বিষয়টি জানায় ভারতীয় পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিমুল ভূইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূইয়া ওরফে আমানুল্যা সাইদ, তানভীর ভূইয়া ও শিলাস্তি রহমানকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশ পুলিশ। শুক্রবার (২৪ মে) তাদের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।