রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৭ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
ঢাকায় ‘বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশু-কিশোরদের শিক্ষার চ্যালেঞ্জ: সমাধান কোন পথে’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
/ ৪১ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪, ১২:৪৫ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি:
আজ ৯ মে ২০২৪ বৃহস্পতিবার ঢাকার গুলশানের সিক্স সিজন হোটেলের হলরুমে বিকাল তিনটায় গণসাক্ষরতা অভিযান এর উদ্যোগে জিপিই-এর সহযোগিতায় ‘বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশু-কিশোরদের শিক্ষার চ্যালেঞ্জ: সমাধান কোন পথে’ শীর্ষক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
মতবিনিময় সভায় আলোচনাপত্র উপস্থাপন করেন গণসাক্ষরতা অভিযান এর কার্যক্রম ব্যবস্থাপক আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করা সত্ত্বেও বিবিএস-(২০২৩) এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, গত বছর প্রায় ৪১% শিশু-কিশোর-যুবরা শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে ছিল। তবে সরকার ইতোমধ্যে ১০ লক্ষ ঝরেপড়া শিশুদের শিক্ষায় ‘দ্বিতীয় সুযোগ’ (ঝবপড়হফ ঈযধহপব ঊফঁপধঃরড়হ) কার্যক্রমের আওতায় ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন’ প্রকল্প উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাধারায় বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু প্রকল্পভিত্তিক স্বল্পমেয়াদি এই কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা থাকে না বলে এ শিক্ষা প্রায়শঃ টেকসই হয় না এবং অধিকাংশ শিক্ষার্থীর তেমন কোনো কাজে আসে না। সেকারণে এটিকে প্রকল্পভিত্তিক না রেখে পিইডিপি-৫ পরিকল্পনায় মুলধারার কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোছাঃ নূরজাহান খাতুন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ এবং চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গণসাক্ষরতা অভিযান-এর নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধূরী। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গণসাক্ষরতা অভিযান এর উপ-পরিচালক তপন কুমার দাশ। মতবিনিময় সভায় সারাদেশ থেকে আসা শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজ, গবেষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দেড়-শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে নিজেদের প্রশ্ন ও সুপারিশ তুলে ধরেন এবং অতিথিরা সেসব প্রশ্নের উত্তর দেন।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশু-কিশোরদের শিক্ষার জন্য অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ করা, উপবৃত্তির সংখ্যা এবং পরিমাণ বাড়ানো, মিড ডে মিল সর্বজনীনভাবে চালু করা অতীব জরুরী। এছাড়াও শুধুমাত্র শিক্ষাখাতে জাতীয় বাজেটে ২০ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে। সেইসাথে কারিগরি শিক্ষাকে আরো বেশি বাজার উপযোগী করে প্রশিক্ষিত দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার উপরও জোর দেন বক্তারা।
আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page