শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ অপরাহ্ন [gtranslate]
Headline
Wellcome to our website...dd
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীদের বিশেষ কোটা চালুর ঘোষণা দিয়েছেন  তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী পলক
/ ৪৬ Time View
Update : বুধবার, ৮ মে, ২০২৪, ৫:১৭ পূর্বাহ্ন

বিশেষ প্রতিনিধি:

বাংলাদেশে এখন মাত্র ১ শতাংশ নারী প্রকৌশল খাতে আছে। এই সংখ্যা বাড়াতেই নারীদের জন্য স্টেম শিক্ষা চালু করতে বুধবার রাজধানীর গুলশানের ঢাকা আমারইতে অনুষ্ঠিত হলো শি-স্টেম বিজনেস কেস পর্যালোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং শুন্য ডিজিটাল বিভাজন প্রতিষ্ঠায় শি স্টেম ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমি কলাবেরশন এবং সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারিত্বে বিশ্ববিদ্যালয় এবং উন্নয়ন অংশীদারীরা কীভাবে স্টেম শিক্ষার মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ বাড়াতে পারে তা নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রতিটি উদ্যোগে নারীদের জন্য বিশেষ কোটা চালুর ঘোষণা দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

নারী স্টেম গ্র্যাজুয়েটদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে আইসিটি বিভাগ ইতিমধ্যেই বেশি কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি আমরা শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেখানে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি নিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এখানে আমি নারীদের জন্য সুনির্দষ্ট কোটা রাখতে চাই। একইসঙ্গে প্রতিটি প্রকল্পে মেয়েদের জন্য একক কোটা রাখা হবে যেনো তারা সহজেই এই খাতে প্রবেশ করতে পারে এবং তাদের অমিত সম্ভাবনা প্রকাশ করতে পারে।

তিনি আরো বলেছেন, আজ থেকে ৫০ বছর আগে বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেছিলেন বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নারী-পুরুষের সমতা না থাকলে শান্তি ও সমৃদ্ধি সম্ভব নয়। সেই দর্শন অনুযায়ী গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে উদ্যোক্তা হিসেবে নারীদের অন্তর্ভূক্ত করার সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এর ফলে আজ গ্রাম থেকে বিদেশেও এই প্রকল্পে নারী-পুরুষ উদ্যোক্তার সমতা তৈরি হয়েছে। গত তিন মাসে ২২টি জেলা সফর করে আমি বুঝতে পেরেছি আমাদের নারী উদ্যোক্তারা ব্যক্তি, পারিবারিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থান উন্নত করেছেন। আইসিটি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রযুক্তি জ্ঞান ও দক্ষতায় অনন্যতা অর্জন করেছে। এখন আমরা স্মার্ট এমপ্লয়মেন্ট প্রোগ্রামের অধীনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়নে কাজ শুরু করবো। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তির রিসার্চ ল্যাব স্থাপন করতে যাচ্ছি। আমি মনে করি, এখন ভবিষ্যত প্রজন্মকে এআই, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ও ব্লক চেইনের মতো বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা দরকার।

অনুষ্ঠানে বাধা ভেঙ্গে সুযোগ কাজে লাগিয়ে লিঙ্গ সমতায় স্টেম দারুণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন এটুআই প্রকল্প পরিচালক মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া। অপরদিকে নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ইরনা ভ্যান ডুরেইন বলেছেন, ক্যারিয়ারের কোনো লিঙ্গ নেই। বাংলাদেশ স্টেম নিয়ে ভালো করছে। আমরা দেশজুড়ে নারীদের এই শিক্ষা ব্যবস্থায় অন্তর্ভূক্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের পাশে আছি।

ডাচ সরকারের সহযোগিতায় শি-স্টেম বিজনেস কেইস লাঞ্চ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন লাইট ক্যাসেল পার্টনার্স সিইও বিজন ইসলাম।

এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটুআই প্রকল্প পরিচালক মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ইরনা ভ্যান ডুরেইন।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page