শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করতেন তারা: ডিবি প্রধান
/ ৬১ Time View
Update : রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৩:২৫ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে এবং অনলাইন মাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পুঁজিবাজারে কারসাজি করা একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আমির হোসাইন ওরফে নুর নুরানী (৩৭), নুরুল হক হারুন (৫২) ও আব্দুল কাইয়ুম (৩৯)।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের (দক্ষিণ) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) সাইফুর রহমান আজাদের নেতৃত্বে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবি জানায়, গ্রেপ্তাররা আগে থেকেই সরকারবিরোধী নানা কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। গ্রেপ্তার আমির হোসাইনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দমন আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনেসহ বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা রয়েছে।

তারা দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজার ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), কমিশনের চেয়্যারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রুপ খুলে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে আসছিল। এছাড়া সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ব্যবহার করে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে আসছিল।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

ডিবি প্রধান বলেন, পুঁজিবাজার স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারী তাদের সর্বস্ব নিয়ে এসে বিনিয়োগ করেন। অল্পতেই এখানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অনেক আশঙ্কা থাকে। একটি স্বার্থান্বেষী চক্র মিথ্যা তথ্যে বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করে আসছিল, এমন অভিযোগে বিএসইসি রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা তদন্তের ধারাবাহিকতায় ডিবি তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তাররা মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর জন্য ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামে গোপনীয় গ্রুপ ব্যবহার করে। এসব গ্রুপে শেয়ারবাজার সংক্রান্ত মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য দিয়ে আসছিল। বিভিন্ন ধরনের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আগে ভাগে প্রকাশ করে দেয়, যা বেশিরভাগ সময় বানোয়াট ও মিথ্যা। যার ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ডিবি প্রধান বলেন, তারা বিভিন্ন সময় আন্দোলনের নামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ব্যবহার করে রাস্তা দখল করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে। এছাড়া তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিভিন্ন ইস্যুতে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে সেসব কোম্পানি সম্পর্কে অনলাইনে অপপ্রচার শুরু করে। এমনকি কোম্পানির অফিসগুলোতেও হামলা করে।

গ্রেপ্তারদের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা বিভিন্ন শেয়ার নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দাম বাড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে। এসব করার জন্য গোপনীয় গ্রুপ ব্যবহার করে আসছিল। এসব গ্রুপের সদস্যদের একটি নির্দিষ্ট ফি দিয়ে গ্রুপে যুক্ত হতে হয়। আবার শেয়ারে প্রফিট হলে লভ্যাংশের অংশ দিতে হয়। কিন্তু লোকসান হলে তারা দায়িত্ব নেয় না।

গ্রেপ্তারদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রে জড়িত অন্যদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। অনলাইনে গুজব ছড়িয়ে যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমাদের নজরদারি অব্যাহত আছে বলেও জানান ডিবি প্রধান হারুন।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page