রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৫ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী
/ ৬৮ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ৯:০৫ পূর্বাহ্ন

বিশেষ প্রতিনিধি:

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সময়ের ব্যবধানে আমরা প্রায় চার কোটি টনের বেশি চাল উৎপাদন করি। গত ১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি।

তিনি আজ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়া ও লিমরা এক্সিবিশনস এর যৌথ উদ্যোগে বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে তিনদিন ব্যাপী ১২তম আন্তর্জাতিক কৃষি প্রযুক্তির মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা (আওয়ামী লীগ) যখন প্রথম সরকার গঠন করে তখন দেশে অনেক খাদ্য ঘাটতি ছিল। তখন ২০ মিলিয়নের নিচে খাদ্য উৎপাদন হতো। মানুষ খাদ্যের জন্য হাহাকার করত। তখন আমরা খাদ্য আমদানির উপর নির্ভর ছিলাম। সময়ের ব্যবধানে আমরা প্রায় চার কোটি টনের বেশি খাদ্য উৎপাদন করি। খাদ্য বলতে আমরা চাল উৎপাদন করছি। গত ১৫ বছরে আমাদের আমদানি করতে হয় নাই। ১৯৯৬ সালে তখন আমরা ৮০ টাকার সার ২০ টাকায় বিক্রি করছি। সে সময় সারের দাম ও কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের শুল্ক কমানো হয়।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কৃষি ও ভাগ্যাহত কৃষককুলের উন্নয়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে বিভিন্ন কর্মসূচি।

তিনি বলেন, প্রচলিত সনাতন ধারার কৃষি প্রযুক্তির পরিবর্তনে খামার যান্ত্রিকীকরণের পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তি ও কলাকৌশল এর সমন্বয় সাধন একান্ত প্রয়োজন।

মন্ত্রী কৃষি ও শিল্প খাতে দেশের অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি সেক্টর উল্লেখ করে বলেন, এই দুইটি খাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হলে দেশে সেবাখাতের বিকাশ হবে।

মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন এবং এর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিতে সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি উৎপাদক, প্রযুক্তি সম্প্রসারণকারী শিল্প ও প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশগ্রহণে এই প্রযুক্তি মেলা কৃষিখাতকে সমৃদ্ধ করবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, কৃষি সকল দেশের জন্য আদিখ্যাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।জিডিপির জন্য যে-সব সেক্টরগুলো আমদের আছে প্রোডাক্টিভ সেক্টর, অ্যাগ্রিকালচার সেক্টর ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টর। এই সেক্টরগুলো না হলে সার্ভিস সেক্টর প্রমোট হবে না।

মানুষের যেমন দুইটি পা আছে, ঠিক তেমনি জিডিপির দুইটি পা হল অ্যাগ্রিকালচার ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টর। গোলবালি ম্যাজিক বর্তমানে হল সার্ভিস সেক্টরের কন্ট্রিবিউশনে জিডিপি যত বেশি হবে, সে দেশ ততো বেশি উন্নত।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে দেশে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। আজকে দেশে ২৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। শহরের লোডশেডিং করেছি কিন্তু গ্রামে কৃষি কাজে জন্য লোডশেডিং মুক্ত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এর কারণে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনের ঘাটতি সম্পূর্ণ মুক্ত করতে পেরেছি।

এই মেলা চলবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ) কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগ অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল আলম।

অনুষ্ঠানে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ, লিমরা ট্রেড ফেয়ারস্ অ্যান্ড এক্সিবিশনস্ (প্রা.) লিমিটেড চেয়ারম্যান কাজী ছারোয়ার উদ্দিন, পল্লী উন্নয়ন একাডেমী বগুড়া, মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. খুরশীদ ইকবাল রেজভী প্রমুখ।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page