প্রতিবন্ধী যুবক আব্দুল করিম শেখের ফসলি জমি মাটি ভরাট করে দখলে নিয়েছে এলাকার প্রভাবশালীরা।
গত বুধবার রাতে এরকম চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর শহরের ভাংনাহাটি গ্রামে। ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী যুবক আব্দুল করিম শেখ শ্রীপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আতব আলী শেখের ছেলে। প্রতিকার পেতে প্রতিবন্ধী যুবক আব্দুল করিম বাদী হয়ে শ্রীপুর থানা ও পৌরসভায় পৃথক দু’টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলো, শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. ফারুক (৫০) ও একই গ্রামের মৃত জব্বার সরকারের ছেলে লিয়াকত আলী (৫২)।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, অভিযুক্ত মো ফারুক ভাংনাহাটি রহমানির কামিল মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও লিয়াকত আলী একই প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী পদে চাকুরী করেন।
স্থানীয় পোল্ট্রি ব্যবসায়ী আসফাক হোসেন বলেন, এভাবে রাতের আঁধারে প্রতিবন্ধী নিরীহ মানুষের জমিতে মাটি ভরাট করে দখল করে নিয়েছে। এটা কি ধরনের মানসিকতা। গত এক সপ্তাহ পূর্বে জমিতে ধান রোপণ করেছে আজ দেখি মাটি ভরাট।
প্রতিবন্ধী আব্দুল করিম শেখ জানান, গত বুধবার গভীর রাতে অভিযুক্তরা আমার ধানের জমিতে মাটি ফেলে দখলে নেয়। অভিযুক্ত দু’জন সারারাত দাঁড়িয়ে থেকে আমার ফসলী জমিতে মাটি ফেলে ভরাট করেছে। সকালে জমিতে গিয়ে জমি ভরাটের চিত্র দেখে এসেছি। আমি প্রতিবন্ধী মানুষ আমার কি করার আছে। জমি রক্ষায় থানা এবং মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
অভিযুক্ত মো. ফারুক বলেন, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলের নেতৃত্বে জমি ভরাট হয়েছে। এখানে যতটুকু জমি ভরাট হয়েছে। অন্য স্থান থেকে ততটুকু জমি দিয়ে দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত তো আপনি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি শুধু কাউন্সিলরকে সহযোগিতা করেছি। আমি জমি দখল করিনি।
ভাংনাহাটি রহমানির কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সাব্বির আহম্মদ মমতাজী বলেন, মাদরাসার জন্য ক্রয়কৃত নিচু জমি ভরাটের জন্য পরিচালনা পর্ষদের পক্ষে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. কামরুজ্জামান মন্ডলকে প্রধান করে একটি প্রজেক্ট কমিটি করে দেয়া হয়েছে। অন্য কারো জমিতে মাটি ফেলে ভরাটের নিদর্শনা দেয়া হয়নি। আমি বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অবস্থা করছি। শনিবার সরজমিনে গিয়ে এবিষয়ে মিমাংসা করবো। মাদরাসা কতৃপক্ষ কারো জমি দখল করবে না। যদি তাঁরা অন্যের জমিতে মাটি ফেলে ভরাট করে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার।
শ্রীপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত ইমতিয়াজ মাহফুজ বলেন, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। একজন প্রতিবন্ধী যুবকের জায়গা দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।