বিশেষ প্রতিনিধি:
ঢাকা-১১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. ওয়াকিল উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচিত হলে তিনি এই আসনকে সারা দেশের মধ্যে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলবেন। এখানকার রাস্তাঘাট ও খেলারমাঠের সঙ্কটসহ যাবতীয় সমস্যা তিনি দূর করবেন।
সকাল থেকে এই আসনের মানুষের কাছে নৌকার জন্য ভোট চাওয়ার সময় ওয়াকিল উদ্দিন এসব কথা বলেন। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তরের অন্তর্ভূক্ত ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় এদিন জনসংযোগ করেন। এ সময় তিনি সাধারণ ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে যান। গত ১৫ বছরে সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড এ সময় তিনি ভোটারদের কাছে তুলে ধরেন। তিনি এ সময় সাধারণ ভোটারদের সমস্যার কথা শোনেন এবং নির্বাচিত হলে এসব সমস্যা দূরীকরণেরও আশ্বাস দেন তিনি।
ওয়াকিল উদ্দিন আরো বলেন, ‘আমাকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়ায় আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। জনগণ ভোট কেন্দ্র গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য এখন উন্মূখ হয়ে আছে। আরো সাত জন প্রার্থী আছেন আমার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতায়। সবাই তারা নির্বাচনী মাঠেও আছেন। আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। আমি মনে করি, জনগণ আমাকে এবার নির্বাচিত করবে। আমি নির্বাচিত হলে এই এলাকার জনপ্রনিধিদের নিয়ে বসে প্রাধিকার তালিকা অনুযায়ী এই এলাকার মানুষের চলাচলের রাস্তাঘাট, খেলার মাঠসহ সকল সমস্যা সমাধান করবো।’
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা হলেন গরীব দুখী-অসহায় মানুষের নেত্রী। তিনি সুবিধাবঞ্চিত সকল মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা, ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণসহ নানা কল্যাণকর কর্মসূচি বাস্তবায়ণ করে চলেছেন।’
এই বীর মুক্তিযোদ্ধা আরো বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের সর্বত্র চোখে পড়ার মত উন্নয়ন করেছেন। চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিতে এবং অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পূর্ণ করতে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।’
এ সময় তিনি সাধারণ ভোটারদের প্রতিশ্রতি দেন, তিনি নির্বাচিত হলে ঢাকা-১১ সংসদীয় আসনকে সারা দেশের মধ্যে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
প্রতিক্রিয়ায় ৩৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন যাবত বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াকিল উদ্দিনের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য এলাকার সাধারণ মানুষ তাকে সহজেই গ্রহণ করেছে।
বাসিন্দারা আরো জানান, ওয়াকিল উদ্দিন মাটি মানুষের নেতা, কোনো সমস্যায় পড়লে কেউ তার কাছে গেলে তিনি আন্তরিকভাবে সেসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন।
এই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, ‘ওয়াকিল উদ্দিনকে নৌকা প্রতীকে জিতিয়ে আনার জন্য সবাই মাঠে নেমেছে। এটা শুধুমাত্র সম্ভব হয়েছে তার ক্লিন ইমেজ থাকার কারণে।’
নির্বাচনী প্রচারের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডেরশেখ সেলিম, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা এমদাদ হোসেন, কামরুন্নাহার বেগম ও আওয়ামী লীগসহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।