নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি আজ নব্য হানাদার হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেমন নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে, আজকে নব্য হানাদার হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে বিএনপি। জামায়াতকে সাথে নিয়ে তারা আজকে সাধারণ মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করছে, সাধারণ মানুষকে জিম্মি করছে, গাড়িতে আগুন দিচ্ছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ মার্চ এই ভবন থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। এই ভবন থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠন করা। স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। ফলে বঙ্গবন্ধু সব স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। কিন্তু আজ আমরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের পথে বহুদূরে এগিয়ে গিয়েছি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে, খাদ্য ঘাটতি থেকে খাদ্যে উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পৃথিবীর সামনে উপস্থাপিত হয়। দেশ জিডিপিতে পৃথিবীর ৩৫তম ও পিপিপিতে ৩১তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে।
‘বিএনপি-জামায়াতের এই ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতি যদি না থাকতো বাংলাদেশ বহুদূর এগিয়ে যেত’ উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে হলে এই অপরাজনীতি এবং এই অপরাজনীতি যারা করে তাদের নির্মূল করতে হবে।’
জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কলম আরো শাণিত হোক
বিজয় দিবসের দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের বিজয় শোভাযাত্রা উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জঙ্গি-সন্ত্রাসী গোষ্ঠির বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কলম আরো শাণিত করার আহবান জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা সমাজের আলোকবর্তিকার মতো। আগামী জানুয়ারির নির্বাচনে ফয়সালা হবে দেশ কি এগিয়ে যাবে না কি বিএনপির ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ শ্লোগানে পিছিয়ে যাবে।তাই সাংবাদিকদের আহবান জানাবো, জঙ্গি-সন্ত্রাসী গোষ্ঠির বিরুদ্ধে আপনারা কলম ধরেছেন, বক্তব্য দিচ্ছেন, এ সবই আরও শানিত হোক।’
‘আমরা যদি সবাই একযোগে এই সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, বর্বরতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি, বাংলাদেশ থেকে এগুলো নির্মূল হতে বাধ্য’ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন হাছান মাহমুদ।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে র্যালিপূর্ব সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন ও সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ।
ডিইউজে’র যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলমের সঞ্চালনায় সংগঠনের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভুইয়া, সাজ্জাদ আলম খান তপু, ডিইউজের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক অশোক দত্ত, এম এ মজিদ প্রমুখ র্যালিতে যোগ দেন।