রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
বুদ্ধিজীবী হত্যায়ও জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে দেশ বহুদূর এগিয়েছে : তথ্যমন্ত্রী
/ ৫৪ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৩:৩৪ অপরাহ্ন

সিনিয়র রিপোর্টার:

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে যাদেরকে হত্যা করা হয়েছিলো, বাঙালি জাতির স্বাধীনতার লক্ষ্যে মনন তৈরি করতে বঙ্গবন্ধুর সহযোগী হিসেবে তারা তাদের লেখনী, বক্তব্যের মাধ্যমে ও নানাভাবে কাজ করেছিলেন। কিন্তু তাদেরকে হত্যা করেও বাঙালি জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি। এবং গত ৫২ বছরের বেশি সময়ে পথ চলায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বহুদূর এগিয়ে গেছে।’

 

বৃহস্পতিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের সকালে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদেরকে তিনি এ কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যখন আসন্ন, পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী উপলব্ধি করতে পেরেছিলো বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে যাচ্ছে এবং সেই জাতিকে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যেই ১৪ ডিসেম্বর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিলো।’

 

‘বাংলাদেশে যদি বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে অপরাজনীতি, সাম্প্রদায়িকতা আশ্রয়ী রাজনীতি, জ্বালাও-পোড়াও, ধংসাত্মক রাজনীতি না থাকতো আমরা বঙ্গবন্ধুর সমস্ত স্বপ্ন ইতিমধ্যেই বাস্তবায়ন করতে পারতাম’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশেষ করে যারা স্বাধীনতা চায়নি, স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যারা পাকিস্তানিদের হয়ে যুদ্ধ করেছে সেই জামায়াতে ইসলামীকে তারা সাথে নিয়ে বিএনপি অপরাজনীতি করছে। এই অপরাজনীতি যদি দেশে না থাকতো দেশ আজকে বহুদূর এগিয়ে যেতে পারতো।’

 

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ পৃথিবীর কাছে একটি গর্বিত জাতি এবং আজকে বাংলাদেশের প্রশংসা সমস্ত বিশ্ব পঞ্চমুখ। অথচ দুঃখের বিষয় এখনো বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি হয়।’ তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। আমরা যখন বিচারের ঘোষণা দিলাম তখন অনেকেই ভেবেছে এই বিচার হবে না। বিচার কার্যক্রম শুরুর পরও অনেকেই ভেবেছে কার্যক্রম শুরু হলেও শেষ হবে না। আবার রায় হবার পরেও অনেকে ভেবেছিলো রায় হলেও বাস্তবায়ন হবে না। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে পৃথিবীর অনেক বড় রাষ্ট্রের রক্তচক্ষু ও অনেক চাপকে উপেক্ষা করে জননেত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন, বিচারের রায় বাস্তবায়ন করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকলে সমস্ত মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হবে বিচারের রায়ও কার্যকর হবে।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page