নিজস্ব প্রতিবেদক,চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রাম বন্দরকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক ব্যবসায়িক গড়ে তুলতে চায় সৌদি আরব। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগেও উৎসাহী দেশটির ব্যবসায়ীরা। সৌদি আরবের এই বিনিয়োগকে দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদাহরণ হিসেবে দেখছে সরকার। সরকারের বিনিয়োগবান্ধব উদ্যোগের ফলেই এ ধরনের বিনিয়োগ বাড়ছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে এসব কথা জানান সালমান এফ রহমান এমপি।
সকালে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরের পর দুপুরে অনির্ধারিত এক সফরে বিশেষ বিমানে সৌদি বিনিয়োগ মন্ত্রী এবং রেডসী গেটওয়ের প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে চট্টগ্রামে যান প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি। বন্দর নগরীতে এসে সরাসরি পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালে যান এই প্রতিনিধি দল। ঘুরে দেখেন পুরো টার্মিনাল এলাকা।
পরে সাংবাদিকদের সালমান এফ রহমান বলেন, ‘সরকার বেসরকারি খাতকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। প্রধানমন্ত্রী এই খাতের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন সবসময়। সরকার ব্যবসা করে না, বরং ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করে–এটাই প্রমাণ করেছেন তিনি।’
সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃ্ত্বের কারণেই বাংলাদেশের আজকের উন্নয়ন এই হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে সৌদির সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিশেষ করে ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাব্যক্ত করেন সালমান এফ রহমান।
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা মনে করেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্যে শক্ত অবস্থান নেয়ার সুযোগ আছে বাংলাদেশের। বন্দরে বিদেশি বিনিয়োগ সেই সুযোগকে আরও প্রসারিত করবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে ভৌগলিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
এসময় পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী। এই অঞ্চলকে ঘিরে ভবিষ্যতে আরও দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রেট সী গেটওয়ের সঙ্গে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার বিষয়ে ২২ বছরের চুক্তি হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ল্যান্ডলর্ড বন্দর ধারনার যুগে প্রবেশ করলো চট্টগ্রাম।