সিনিয়র রিপোর্টার:
তৈরি পোশাক শিল্পের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ফকির অ্যাপারেলস মহিলাদের জন্য তৈরিকৃত ক্যালোর জ্যাকেট-এর জন্য আইএসপিও ২০২৩-এ সম্মানসূচক অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছে। পোশাক শিল্পে নিত্যনতুন উদ্ভাবন ও স্থায়িত্বের ফলশ্রুতিতে ফকির অ্যাপারেলসকে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর প্রফেশনাল অ্যাপারেল অ্যান্ড টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি (আইএসপিও) অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের পোশাক নির্মাণ শিল্পে প্রথম বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই সম্মাননাটি গ্রহণ করে ফকির অ্যাপারেলস।
তৈরি পোশাক শিল্পের বাজারে প্রাচ্যের একচেটিয়া বিস্তারকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশের ফকির অ্যাপারেলস প্রতিযোগীতা করে আসছে। তরুণ প্রতিভা, কর্মদক্ষতা ও উদ্যোক্তা মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে দেশীয় নির্মাতারা এই বাজারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে। তুলা-ভিত্তিক পোশাকের উৎপাদনে পরিচিত ফকির অ্যাপারেলস গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে সিন্থেটিক ও সেমি-সিন্থেটিক পোশাক উৎপাদনেও জড়িত। ২০১৮ সাল থেকে স্পোর্টসওয়্যার শিল্পে পাঁচ বছরের সাফল্য নিশ্চিত করে নিত্যনতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে পোশাক তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
ক্যালোর জ্যাকেট তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশের তৈরি-পোশাক শিল্পের টেকসইতার দিকে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন ফকির অ্যাপারেলস লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফকির নাফিজুজ্জামান। তার মতে, এটি শুধুমাত্র অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং পোশাক শিল্পের বৃহৎ দর্শনকে ইঙ্গিত করে না বরং উন্নত উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত পোশাকের বর্জ্য হ্রাসে সাহায্য করে পরিবেশবান্ধব শিল্পের দিকেও এগিয়ে নিয়ে যায়।
এছাড়াও তিনি বলেন, “প্রাচ্যের পোশাক শিল্পের উপর নির্ভরতা অনেকাংশে কমে যাচ্ছে। ফকির অ্যাপারেলস স্থানীয় তুলার উপর ভিত্তি করে গ্রাহকদের জন্য সিন্থেটিক ফাইবারে পোশাক তৈরি করে থাকে। আমি মনে করি, এটি দেশীয় পোশাক শিল্পের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সুযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।”
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে ফকির অ্যাপারেলস-এর যাত্রা ও এই অ্যাওয়ার্ড অর্জন মূলত দেশীয় শিল্পের দক্ষতা ও টেকসইতাকে বিশ্ব দরবারে হাজির করে। এ বিষয়ে তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমাদের দক্ষ জনবল উদ্ভাবনী ডিজাইন, গবেষণা এবং স্পোর্টওয়্যার শিল্পে টেকসইতা রক্ষায় সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আমাদের সর্বশেষ তৈরিকৃত ক্যালোর জ্যাকেট হলো এই প্রচেষ্টার ফল যা পোশাক শিল্পের সামগ্রিক বর্জ্য ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করার পাশাপাশি আরাম, নিরাপত্তা এবং বহুবিধ কার্যকারিতার প্রতিফলনস্বরুপ। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের পণ্য সামাজিক ও পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রেখে পোশাক শিল্পের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যত আনয়নে সহায়তা করবে।”