সিনিয়র রিপোর্টার:
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ এ ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিশন ঘোষণা করেছিলেন বলেই ই-কমার্স সেক্টর দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছে। তিনি বলেন, ই-কমার্স তরুণ প্রজন্মের নিকট নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছে।
তিনি আজ রাজধানীস্থ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) আয়োজিত ‘ই-কমার্স মুভার্স অ্যাওয়ার্ডস (ইসিএমএ) ২০২৩’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে স্পীকার আজ এসব কথা বলেন।
এ অনুষ্ঠানে ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি এবং ই-ক্যাবের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক এমপি বক্তব্য প্রদান করেন।
স্পীকার বলেন, তথ্য প্রযুক্তি দেশের অর্থনীতি, যোগাযোগ ব্যবস্থা, চিকিৎসা, শিক্ষা ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন সেবা পাওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজীকরণ করেছে। তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সুবিধা কাজে লাগিয়ে সরকার দেশের ১ কোটি শিক্ষার্থীর নিকট শিক্ষা ভাতা পৌঁছে দিচ্ছে।
স্পীকার বলেন, ই-কমার্স কোন বাউন্ডারির ভেতরে সীমাবদ্ধ নয়। তাই এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যকে দেশের বাইরে ছড়িয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ বৃদ্ধিতে ই-ক্যাব নীতি নির্ধারক মহলে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করতে পারে।
স্পীকার বলেন, দেশের প্রত্যন্ত এলাকার নারী উদ্যোক্তারা সহজেই যাতে ই-কমার্স প্লাটফর্মের সুবিধা গ্রহণ করতে পারে, সেজন্য সহায়ক নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, ই-কমার্স মুভার্স অ্যাওয়ার্ডস তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে নতুন উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি করতে সক্ষম হবে।
ই-ক্যাবের গত নয় বছরের সফল পথচলার কথা উল্লেখ করে স্পীকার তাদের এধরণের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান। এসময় স্পীকার ই-কমার্সের বিভিন্ন প্লাটফর্মে বিজয়ী উদ্যোক্তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিববৃন্দ, বিদেশী অতিথিবৃন্দ, ই-ক্যাবের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত উদ্যোক্তাবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মীগণ এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।