গতকাল রবিবার ১৪তম সাউথ এশিয়া ইকোনমিক সামিটের শেষ দিনে সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান। সিপিডি এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
সিনিয়র রিপোর্টার:
মেয়েদের প্রতি বিনিয়োগে অনাগ্রহ
নারীর ক্ষমতায়ন ও লৈঙ্গিক ক্ষমতায়ন শীর্ষক সেমিনারের প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীরা অনেক দূর এগিয়েছে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণের দিক থেকে। তবে এখনো সমাজে বেশ কিছু সাংস্কৃৃতিক বিষয় রয়েছে, যে কারণে নারীদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আমরা করোনাকালে দেখেছি, নারী শিক্ষার্থীরা বেশির ভাগই ঝরে পড়েছে। অনেকের বাল্যবিবাহ হয়েছে। এর পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে মেয়েদের মা-বাবা তাঁদের সন্তানদের প্রতি এখনো বিনিয়োগ করতে চান না।’
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সমাজে যেসব নারী খানিকটা পিছিয়ে রয়েছে, তাদের পিছিয়ে পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে সহিংসতা। তারা ঘরে-বাইরে সহিংসতার শিকার হয়েছে। তিনি বলেন, নারীদের কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ বেড়েছে। তবে তা অবৈতনিক কাজে বেশি। নারীরা উচ্চবেতন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তেমন জড়িত হতে পারেনি। এখনো তারা রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশীল হতে পারেনি।
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা সঠিকভাবে হতে হবে
ব্র্যাকের চেয়ারপারসন ও পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্ষেত্র। বাংলাদেশের অনেক ক্ষেত্রেই সফলতা রয়েছে, কিন্তু এ ক্ষেত্রে নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। এর অন্যতম কারণ মানসম্পন্ন চিকিৎসার অভাব। অন্যদিকে জনসংখ্যার তুলনায় ডাক্তার ও নার্সের অনুপাত অনেক কম, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিবেচনায় অনুপস্থিত। এদিকে আমাদের নজর দেওয়া দরকার। আমার মনে হয়, স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে আলোচনাও হয় সীমিত পরিসরে।’
দুই দিনের এই সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর থেকে ছয় শর বেশি খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন। সম্মেলনে মোট ১৭টি প্যারালাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশ-বিদেশ থেকে ৭০ জনেরও বেশি বক্তা বক্তব্য দেন।