শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
হাওর এলাকায় আর কোনো সড়ক নির্মাণ নয়-পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান
/ ৬৭ Time View
Update : সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩, ১:১২ অপরাহ্ন

বিশেষ প্রতিনিধি:

প্রকৃতির ক্ষতি করবে এমন কোনো প্রকল্প জেনেশুনে হাতে নেবেন না বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, আমরা চরাঞ্চল ও উপকূলে সড়ক নির্মাণ করছি। হাওর এলাকায় আর কোনো সড়ক নির্মাণ করা হবে না।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এবং বিশ্বব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘দ্য গ্লোবাল এনার্জি ট্রানজিশন অফার্স অ্যান অপারচুনিটি টু বুস্ট গ্রোথ ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, নতুন নতুন প্রকল্প আসছে, সেগুলো নারীবান্ধব, প্রকৃতি সহায়ক ও বাণিজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেই সঙ্গে জীবাশ্ম জ্বালানি, কয়লা, তেল ও গ্যাস থেকে ধীরে ধীরে সরে সূর্যের রশ্মি থেকে কীভাবে শক্তি সংগ্রহ করা যায় সেই চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, সবুজ উন্নয়নে বাংলাদেশ কিছু চিত্তাকর্ষক অগ্রগতি করেছে। যেমন গার্মেন্টস খাত সবুজ কারখানার সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের সেরাদের মধ্যে রয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের অবশ্যই বাংলাদেশের শক্তি দক্ষতা এবং সংরক্ষণ মাস্টারপ্ল্যানের রূপরেখার পথে চলতে হবে, যার মধ্যে বৃহৎ শিল্প শক্তি গ্রাহক, আবাসিক গ্রাহক, বিল্ডিং, বেসরকারি কোম্পানি এবং সরকারি সংস্থাগুলোকে শক্তি দক্ষতার দিকে অগ্রসর হতে সাহায্য করার জন্য একটি সিরিজের প্রোগ্রাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সম্মেলনে বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, পরিবেশ ও জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা করতে এবং এর শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি কর্মক্ষমতা ধরে রাখতে বাংলাদেশকে আরও অনেক কিছু করতে হবে।

তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা ও ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধির কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

আবদৌলায়ে বলেন, সবুজ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশকে জলবায়ু ঝুঁকির বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে এবং উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে।

সম্মেলনে বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন বলেন, আমরা সত্যিকার অর্থে সবুজ বৃদ্ধির এজেন্ডাকে গুরুত্ব দেবো। সবুজ প্রবৃদ্ধির এজেন্ডা কীভাবে প্রবৃদ্ধি প্রদান করে এবং সবুজ বৃদ্ধিকে বোঝার জন্য আন্তঃবিভাগীয় পদ্ধতির গুরুত্ব সম্পর্কে চিন্তা না করে অগ্রসর হতে পারে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

দৃঢ় প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও দক্ষিণ এশিয়া একটি ঝুঁকিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির মুখোমুখি। বিশ্বব্যাংক তার সাম্প্রতিক আঞ্চলিক অর্থনৈতিক হালনাগাদ তথ্যে বলেছে, প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে সহায়তা করার জন্য বিশ্বব্যাপী শক্তির স্থানান্তরকে পুরোপুরি পুঁজি করার জন্য দেশগুলোকে আহ্বান করা জানানো হয়েছে।

‘টুওয়ার্ড ফাস্টার, ক্লিনার গ্রোথ’ শীর্ষক বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্থর প্রবৃদ্ধি এবং আর্থিক চ্যালেঞ্জের কারণে সীমাবদ্ধ, দক্ষিণ এশিয়ার সরকারগুলোর কাছে তাদের অর্থনীতিগুলিকে বৈশ্বিক শক্তির পরিবর্তনের সর্বাধিক সুবিধা করতে সাহায্য করার জন্য সীমিত জায়গা রয়েছে।

গ্লোবাল এনার্জি ট্রানজিশন উৎপাদনশীলতা ও বিনিয়োগ বাড়ানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বায়ুদূষণ হ্রাস এবং জ্বালানি আমদানির ওপর নির্ভরতা কমানোর একটি সুযোগ উপস্থাপন করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শক্তির উত্তরণ দক্ষিণ এশিয়ার শ্রমবাজারকে নতুন আকার দেবে। এই অঞ্চলের প্রায় এক-দশমাংশ কর্মীদের দূষণ-নিবিড় চাকরিতে নিযুক্ত করা হয়। এতে বলা হয়েছে, এই কাজগুলো নিম্ন-দক্ষ এবং অনানুষ্ঠানিক কর্মীদের মধ্যে কেন্দ্রীভূত হয় যারা চাকরি বা আয় ক্ষতির সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে লড়াই করতে পারে। যদিও শক্তির স্থানান্তর নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে, এটি কিছু কর্মীকে ক্ষয়িষ্ণু শিল্পে আটকে রাখতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে এ ধরনের কর্মীদের সুরক্ষার জন্য বিস্তৃত নীতির সুপারিশ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে উচ্চ-মানের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, অর্থ এবং বাজারে আরও ভালো অ্যাক্সেস প্রদান, কর্মীদের গতিশীলতা সহজতর করা এবং সামাজিক নিরাপত্তা জাল শক্তিশালী করা।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page