ইসমাইল হোসেন,শেরপুর:
মৃগী নদীর গর্ভে বিলীন শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের তালুকপাড়া গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র সংযোগ রাস্তাটি। গাড়ি সহ যাবতীয় ভারী মালামাল অরক্ষিত অবস্থায় অন্য গ্রামে রেখে বাড়ি ফিরতে হয় এলাকাবাসির। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা নিয়েও দুশ্চিন্তার শেষ নেই। এক্ষেত্রে যে কোন সময় হতে পারে অঘটন। তালুকপাড়া গ্রামের একমাত্র রাস্তাটির সংযোগস্থল বিলীন হওয়াই অট্রো-রিক্সা চালক সহ অধিকাংশ পরিবারের স্বাভাবিক জীবনে শুরু হয়েছে নেতিবাচক প্রভাব।
সরেজমিনে দেখা যায়, লছমনপুর ইউনিয়নের কড়ই-তলা থেকে তালুকপাড়া টু দড়িপাড়া (হক আলী মোড়) হইয়া কৃঞ্চপুর দিয়ে নন্দীর বাজার পযর্ন্ত প্রায় ১০কিলোমিটার অবহেলিত কাঁচা রাস্তার উত্তর অংশ (কড়ই-তলা) তালুকপাড়া অংশে মৃগী নদীর ভাঙ্গনে বিলীন রাস্তার সংযোগস্থল। অপর দিকে দড়িপাড়া (হক আলী মোড়) সংলগ্ন হাড়িভাঙা অংশে ব্রীজ না থাকাই চরমে জনদূর্ভোগ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রুকুনুজ্জামান ফর্সা বলেন, মৃগী নদীটি রাস্তা থেকে প্রায় দুই-তিনশত ফিট দূরে ছিল আস্তে আস্তে ভাঙতে ভাঙতে রাস্তার কাছে এসে পড়ে কিন্তু গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ আর নদীর তীব্র স্রোতে এবার রাস্তা প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। আমি সহ এলাকাবাসী বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবহিত করেছি।
এব্যাপারে এলাকাবাসির গণ-দাবি যথাযথ কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত সময়েরই মধ্যে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটির সংস্কারের ব্যবস্থা করে দেয়।সে সাথে দড়িপাড়া অংশে হাড়ি ভাঙ্গায় ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানান।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাই বলেন, রাস্তাটির বেশি অংশ আগেই নদী গর্ভে চলে গেছে আমি বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা সরেজমিনে পরিদর্শনও করেছেন কিন্তু দীর্ঘ সময় চলে গেলেও কার্যত কোন কাজ হয়নি। উল্টো পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা আমাকে ঢাকায় যোগাযোগ করতে বলেছেন।
তিনি আরো বলেন, গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে রাস্তাটি একেবারে নদী গর্ভে চলে গেছে। আমি বিষয়টি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, ইউএনও এবং জেলা প্রশাসক মহোদয়কেও জানিয়েছি। রাস্তাটি রক্ষায় তিনি শেরপুর-১ আসনের সাংসদ, হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপি ও সরকার প্রধানের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
সর্বশেষ অবহেলিত জনপদের বঞ্চিত মানুষের প্রাণের দাবি, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে হাড়িভাঙ্গায় ব্রীজসহ কড়ই-তলা তালুকপাড়া টু নন্দীর বাজার রাস্তাটি পাকা করা হোক।