নিজস্ব প্রতিবেদক, ফরিদপুর: কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, কীভাবে সিন্ডিকেট করে কোল্ডস্টোরেজগুলো সাধারণ মানুষের টাকা শুষে নিচ্ছে। আমরা অসহায়, কিছুই করতে পারছি না। কী একটা অসহায় অবস্থা। আমরা বেশি চাপ দিলে তারা বাজার থেকে আলু তুলে নিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আলুতে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। আলুতে আমাদের ঘাটতি নেই। গত বছর আলুতে কৃষক দাম পায়নি, তাই এ বছর তারা বেশি আলু চাষ করেনি। সেই সুযোগে এ বছর সিন্ডিকেট করে একটা অবস্থা তৈরি করা হয়েছে। এ সিন্ডিকেটের কারণে আমাদের মাঝে মধ্যে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।
তিনি বলেন, ফরিদপুর অঞ্চল পেঁয়াজের জন্য প্রসিদ্ধ এলাকা। পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে তা দ্রুত পচে যায়। আমরা পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছি। ফরিদপুরে ৫০ থেকে ৬০টির মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা খুব কার্যকরী। ভবিষ্যতে আমরা এ প্রযুক্তি আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহার করতে চাই। সঠিকভাবে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারলে ভবিষ্যতে আর পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না।
নির্বাচন সামনে রেখে দেশ অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে আবদুর রাজ্জাক বলেন, নানা চক্র এর পেছনে কাজ করছে। তারা (বিএনপি) ২০১৪ সালের নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল। হরতাল-অবরোধ দিয়ে অচল করতে চেয়েছিল। নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিল। গণতন্ত্রের নামে চরম বর্বরতা দেখিয়েছিল। গাড়ির দরজায় তালা দিয়ে যাত্রীদের পুড়িয়ে মেরেছিল। এর থেকে বীভৎস আর কী হতে পারে।
তিনি বলেন, তারা আবার হুমকি দিচ্ছে, বাংলাদেশকে অচল করে দেবে। তারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টায় ব্যস্ত। এটা দেশের জন্য, অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। সচেতনতার সঙ্গে এই অপশক্তিকে মোকাবিলা করতে হবে।
আরও পড়ুন: ভেজাল ও মজুতদারির বিরুদ্ধে আলেমদের ভূমিকা প্রয়োজন
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপসচিব মোহাম্মদ রাজীব সিদ্দিকী, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক মোল্লা, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।