বিশেষ প্রতিনিধি:
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, যারাই দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করবে, তাদের যথাযথভাবে কঠোর হাতে দমন করা হবে।
রোববার (১৯ আগস্ট) রাজারবাগ পুলিশ মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশপ্রেমিক পুলিশ বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের সূচনা থেকেই দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করে আসছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য আগামী দিনের যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
আইজিপি বলেন, যতদিন বিশ্বে বাংলাদেশের মানচিত্র থাকবে, বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধুর নাম থাকবে অমর।
এ সময় ১৫ আগস্ট কালরাতে নিহত সব শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন তিনি।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তেব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগস্ট মাস আমাদের জন্য শোকের মাস, শঙ্কার মাস। আগস্ট মাসেই আমরা আমাদের জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছি। এ মাসেই আমরা বাঙালির অনেক গুণীজন হারিয়েছি। আগস্ট মাস এলেই মনে মনে শঙ্কা জাগে একাত্তর সালের পরাজিত পক্ষ আবার কোন অঘটন ঘটায় কিনা। তবে বাংলাদেশ পুলিশ যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে। জাতির পিতা আমাদের যে আদর্শ দিয়ে গেছেন সেই আদর্শ বুকে ধারণ করে যেকোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াব।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি উন্নয়নের জন্য দীর্ঘ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন এবং অনেক কিছু বাস্তবায়নও করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই পরিকল্পনা তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে চলেছেন এবং দেশকে উন্নয়নে এক রোল মডেলে পরিণত করেছেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (সদরদপ্তর ও প্রশাসন ) মোঃ তানভীর সালেহীন ইমন পিপিএম।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. কামরুল আহসান, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম ও বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণকারী বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এর আগে প্রধান অতিথি শোক দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীর উদ্ধোধন করেন। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ ,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।