বিশেষ প্রতিনিধি:
নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থার সর্ববৃহৎ মোর্চা “ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম” তার আমন্ত্রণে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দ্বিতীয় টিমের অংশগ্রহণে বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ব পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক পরিবেশ মূল্যায়ন শীর্ষক নাগরিক সংলাপ আজ ২৯ জুলাই শনিবার রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক টিমের প্রতিনিধি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মি.টেরি এল ইসলে, আয়ারল্যান্ড হতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনৈতিক বিষয়ক সিনিয়র সাংবাদিক মি. নিক পউল, জাপান হতে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমাজ কর্মী মি. ইউসুকী সুখ, চীনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মি. এন্ডি লিন, দক্ষিণ কুরিয়ার সমাজ কর্মী পার্ক চুং চাহ এবং যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাইকেল জন শেরিফ। নাগরিক সমাজের পক্ষে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান,অ্যাটর্নি জেনারেল এ্যাড. এ.এম আমিন উদ্দীন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক,সাবেক সচিব উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত, ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন, একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাস
গুপ্ত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ এমরান জাহান, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মজুমদার, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ্যাড. আবুল হাসেম, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ড. মাসুম
চৌধুরী, কৃষিবিদ ড. আজাদুল হক, ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের উপদেষ্টা ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো: শাহ নেওয়াজ,ফোরামের পরিচালকবৃন্দ যথাক্রমে- বুয়েটের উপ-উপাচার্য ড. আব্দুল জব্বার খান, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুল ইসলাম, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ।
নাগরিক সংলাপে আলোচকগণ বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে রাজনৈতিক সংলাপ ও সমঝোতার বিকল্প নেই। সংঘাত,বিশৃঙ্খলা, সন্ত্রাস ও জনদূর্ভোগ সৃষ্টি করে সাধারন মানুষের সমর্থন অর্জন করা সম্ভব নয়। সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় হচ্ছে নির্বাচন ও ভোট বিপ্লব। নির্বাচন ও ভোট বিপ্লব ব্যাতিত অন্য সব উপায় হচ্ছে গনতন্ত্র পরিপন্থি।
কুটনৈতিকদেরকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে মন্তব্যের সুযোগ করে দেওয়া রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। এতে জনগণের প্রতি রাজনীতিবিদদের আস্থাহীনতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে এবং দেশের সম্মান ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হবে এটি আমাদের সকলের প্রত্যাশা। নির্বাচন কমিশনের যে আইন ও বিধিমালা রয়েছে এর সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন।
একটি গ্রহনযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে, এজন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক দলগুলোর স্বদিচ্ছা ও সহযোগিতা।