বিশেষ প্রতিনিধি:
দেশের পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় চলতি বছর ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও আশপাশের এলাকায় পাঁচ লাখ গাছ লাগানো হবে।
সোমবার (১০ জুলাই) বিজিএমইএ ভবনে সপ্তাহব্যাপী (১০-১৬ জুলাই) বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
বিজিএমইএ ফারুক হাসান বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করতে পরিবেশের সুরক্ষায় বিজিএমইএ বিভিন্ন সময় নানা উদ্যোগ নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। আগামী বছরও দেশব্যাপী পাঁচ লাখ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
ফারুক হাসান বলেন, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বেশি উদ্যোগী হতে হবে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই। গাছ লাগানোর এখনই (জুলাই-আগস্ট) উপযুক্ত সময়।
তিনি বলেন, আমরা বিশেষ বিশেষ দিনগুলোকে উপলক্ষ্য করে, যেমন– নিজের জন্মদিনে, সন্তানের জন্মদিনে, সন্তানের প্রথম স্কুলে যাওয়ার দিনে, বিবাহবার্ষিকীতে, বিখ্যাত ব্যক্তিদের নামে, পরিবারের প্রত্যেক সদস্যদের নামে গাছ লাগাতে পারি।
রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় এলাকায় অনেকের ইচ্ছা থাকলেও জায়গার অভাবে গাছ লাগাতে পারেন না। এক্ষেত্রে ‘ছাদবাগান’ কর্মসূচির মাধ্যমে গাছ লাগানো যেতে পারে। তাছাড়া ঢাকা শহরের ছাদবাগান করলে হোল্ডিং ট্যাক্সও ছাড় পাওয়ার (১০ শতাংশ) ব্যবস্থা রয়েছে। ঢাকা শহরকে বাঁচাতে হলে এবং দুই কোটি মানুষের প্রাণভরে নিশ্বাস নেওয়ার জন্য নগরীর বিভিন্ন ফাঁকা জায়গায় গাছ লাগাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ছোট-বড় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রেললাইন ও সড়কের পাশে, সরকারি-বেসরকারি অফিস, রাস্তার দুই পাশে পতিত জমিতে কিংবা উপকূলীয় এলাকায় ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ লাগানোর ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আসুন আমরা প্রত্যেকে হয়ে উঠি বৃক্ষপ্রেমিক। কর্মস্থল-বাসস্থান, আঙিনা, ছাদ, সড়কসহ অফিস-আদালতের যেখানে পরিত্যক্ত জায়গা আছে, সেখানেই আমরা গাছ লাগাই। বেশি বেশি গাছ লাগিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলি।