নিজস্ব প্রতিবেদক: ইট-কাঠ-কংক্রিটের রাজধানীতে সাধারণ মানুষের কাছে জাতীয় চিড়িয়াখানা যেন এক স্বস্তির জায়গা। যেকোনো সরকারি ছুটিতে রাজধানীর অন্যতম এ বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের ঢল নামে। ঈদুল আজহার ছুটিতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শনিবার সকাল থেকেই চিড়িয়াখানায় ভিড় করেন নানা বয়সী মানুষ। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চিড়িয়াখানায় ছুটে আসেন তারা।
রাজধানীর মিরপুরে ১৮৬ একর জায়গাজুড়ে গড়ে ওঠা জাতীয় চিড়িয়াখানা শিশুদের জন্য হলেও শুক্রবার সকাল থেকে নানা বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়। প্রতি ঈদের মতো এবারও চিড়িয়াখানায় লাখো দর্শনার্থীর সমাগম হবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, পরিবার-পরিজন নিয়ে নানা বয়সী মানুষজন ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে চিড়িয়াখানায় এসে স্বস্তি প্রকাশ করছেন। চিড়িয়াখানার বৃষ্টিস্নাত পরিবেশ দর্শনার্থীদের যেমন চাঙ্গা করে রেখেছে, তেমনি পশুপাখিদেরও করেছে উজ্জীবিত। কেবল ঈদ নয়, সারা বছরই চিড়িয়াখানার পরিবেশ দর্শনার্থীবান্ধব থাকুক, এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
এদের মধ্যে ৭৩ বছর বয়সী নূরজাহান বেগম নাতিদের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় আসেন। তিনি জানান, জাতীয় পশু বাঘ এবং বনের রাজা সিংহকে চোখের সামনে দেখে তার দুই নাতি অনেক আনন্দ পেয়েছে। বাসার বাইরে তার নিজেও ভালো সময় কেটেছে।
মিরপুরের বাসিন্দা জুবায়ের হোসেন ঈদের ছুটিতে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, বৃষ্টিতে কিছুটা সমস্যা হলেও ঘুরতে ভালো লাগছে। নিজেদের চেয়ে সন্তানদের আনন্দ বড়। তাই বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘুরছি।
এদিকে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ঈদে রাজধানীবাসীর বিনোদনের জন্য জাতীয় চিড়িয়াখানাজুড়ে নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভিন্ন মাত্রা যুক্ত হয়েছে।