বিশেষ প্রতিনিধি:
কর্মকর্তাদের নিয়ে নিয়ে গঠিত হয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার (২৬ জুন) এ সংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে।
সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের মানুষের মানবাধিকার সংরক্ষণ, উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশে মানবাধিকার সংস্কৃতির বিকাশ ও উন্নয়নে এই প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। পেশাগত ও ব্যক্তিগত বিভিন্ন বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ উপস্থাপনসহ সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও মতবিনিময়ের জন্য কমিশন সচিবালয়ের আওতাধীন নিজস্ব সব প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার সমন্বয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন গঠন করা হয়েছে। এই সংগঠন সদস্যদের যোগ্যতা অনুসারে প্রতিভা বিকাশেও ন্যায়সঙ্গত অধিকার অর্জনে সহায়তা করবে এবং যাবতীয় অন্তরায় দূর করতে কর্তৃপক্ষকে পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করবে। মানবাধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নে যথাযথ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মসূচিতে এই সংগঠনটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
গত ১৮ জুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে সব কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের খসড়া গঠনতন্ত্র উপস্থাপন করা এবং সবার মতামতের ভিত্তিতে একটি গঠনতন্ত্র সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি হিসেবে কাজী আরফান আশিক, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ গাজী সালাউদ্দিন ও মহাসচিব হিসেবে এম. রবিউল ইসলামকে মনোনীত করা হয়।
এছাড়া যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে সুস্মিতা পাইক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আজহার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মো. জামাল উদ্দিন, দফতর সম্পাদক ফারহানা সাঈদ, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মো. তৌহিদ খান, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ফারজানা নাজনীন তুলতুল এবং নির্বাহী সদস্য হিসেবে জেসমিন সুলতানা ও মো. রবিউল ইসলামকে মনোনীত করা হয়।