রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
টিনধারীদের ২ হাজার টাকা কর নির্ধারণ ঠিক হয়নি: শেখ সেলিম
Update : রবিবার, ১৮ জুন, ২০২৩, ৭:৩৩ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম (শেখ সেলিম) বলেছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে টিনধারীদের সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা কর নির্ধারণ করা হয়েছে, এটি ঠিক নয়। এটা বাদ দিতে হবে। কারণ টিন শুধু ট্যাক্সের জন্য ব্যবহার হয় তা নয়, টিন বিভিন্ন সেবামূলক কাজেও লাগে।

রোববার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ সেলিম বলেন, বাজেটে পাঁচ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সংগ্রহ করবে চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে আরও ৭০ হাজার কোটি টাকা। টিনধারীদের সর্বনিম্ন দুই হাজার টাকা কর নির্ধারণ করা হয়েছে এটি ঠিক নয়। এটা বাদ দিতে হবে। কারণ টিন শুধু ট্যাক্সের জন্য ব্যবহার হয় তা নয়, টিন বিভিন্ন সেবামূলক কাজে লাগে।

এ সময় শেখ সেলিম বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে সারা পৃথিবীতে যে সংকট দেখা দিয়েছে তা উত্তরণে সময়োপযোগী বাজেট এটি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার ধারাবাহিকতা রক্ষায় প্রতিফলন ঘটবে। মূল্যস্ফীতির কারণে সব দেশেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, বিএনপির কোনো কোনো নেতা বলেন- আমরা পাকিস্তানে ছিলাম ভালো ছিলাম। তাদের সেই পেয়ারে পাকিস্তানে চলতি অর্থবছরে গড়ে প্রবৃদ্ধি হলো শূন্য দশমিক ২৩। পাকিস্তানে দুর্নীতির রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছেছে, জীবনযাত্রার মান কমে গেছে। পাকিস্তানের এক রুপি সমান বাংলাদেশের ৩৮ পয়সা। পাকিস্তানের রিজার্ভ ৩.৯ বিলিয়ন, আর আমাদের রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার। এই যদি হয়ে থাকে তাহলে ওদের পাকিস্তানে চলে যাওয়া ভালো। পেয়ারে পাকিস্তানের কথা তারা এখনো ভুলতে পারে না।

শেখ সেলিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমাদের কয়েকজন অফিসারের ওপর। সেজন্য তারা লাফালাফি শুরু করেছে। দেশের মানুষ জানুক… বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দিয়েছে তারেক জিয়ার ওপর। সেই নোটটা আমার কাছে আছে। তারেক জিয়াই তো আগে যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন খেয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও পলিটিক্যাল ক্রাইম থাকায় সে আর কোনো দিন আমেরিকায় যেতে পারবে না।

তিনি বলেন, যখন একটি সিচ্যুয়েশন (পরিস্থিতি) আসে, উনি (খালেদা জিয়া) অসুস্থ হয়ে যান। আর তখনই বলে তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে। আরে কিসের বিদেশ, একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিদেশে যেতে পারে না। এটা সংবিধানে নেই। আর অনির্বাচিত সরকার এখানে বসতে পারবে না। জনগণের রায় নিয়ে যারা আসবে আমাদের সংবিধান মোতাবেক আসবে।

আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা আরও বলেন, বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় আগামী নির্বাচনও সেভাবে হবে। আমার দেশের নির্বাচন দেশের সংবিধান অনুযায়ী হবে। জিয়া বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে সেটি ভুলে যাইনি। খালেদা জিয়া ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করে ১১০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, নির্বাচন করে বসতে পারেনি নাকে খত দিয়ে পদত্যাগ করেছিল। এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরি করেছিল। আর কোনো দিন ইয়াজ মার্কা তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না। আওয়ামী লীগ কোনো দিন পালায় না। এই মাটি ও মানুষের সংগঠন হলো আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন কিন্তু পালানোর চিন্তা করেননি।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page