রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৯ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
১৮ জুন সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ৬-৫৯ মাস বয়সী শিশুদেরকে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ 
/ ৩৭ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০২৩, ৩:৩৯ অপরাহ্ন

বিশেষ প্রতিনিধি:

আগামী ১৮ জুন সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ৬-৫৯ মাস পর্যন্ত বয়সী দুই লাখ বিশ হাজার শিশুকে দেশের সকল সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং অন্যান্য নির্ধারিত স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে একযোগে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীস্ত শেরাটন হোটেলে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন এর প্রচারণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

ব্রিফিং-এ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশের ৬-১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ শিশুকে, ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশু ১ কোটি ৯৫ লাখ শিশু সহ ১২-৫৯ মাস বয়সী মোট ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে লাল ও নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মোট ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী, ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়াতে কাজ করবে।

ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়াতে নিয়ে আসার আগে শিশুকে ভরাপেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে এবং ৬ মাসের কম বয়সী এবং ৫ বছরের বেশি বয়সী এবং অসুস্থ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

পরে ভিটামিন-এ ক্লাস ক্যাম্পেইনের ব্রিফিং শেষে একই স্থানে ‘বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস-২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে আরো একটি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই ম্যালেরিয়া দিবসের সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে এবং মশার কামড় থেকে নিরাপদে থাকতে সরকারিভাবে দেড় কোটি বিশেষ মশারি বিনামূল্যে মানুষকে দেয়া হয়েছে। ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ ম্যালেরিয়া নিয়ে সতর্ক থাকতে ভালো প্রচারণা করা হয়েছে বলেই দেশে এবছর ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু শুন্যে নেমে এসেছে।

 

গত কয়েক বছেরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বছরে ম্যালেরিয়া রোগী কমে এসেছে ৭৮ শতাংশ এবং মৃত্যু কমে এসে হয়েছে ৯১ শতাংশ। অথচ ২০১৪ সালে দেশে ৫৭ হাজার ম্যালেরিয়া রোগী ছিল, মারা গিয়েছিল ৪৫ জন মানুষ। বর্তমান চিকিৎসা সেবা দেশের সর্বোত্র পৌঁছে গেছে। মানুষ সঠিক সময়ে ভালো চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে বলেই ম্যালেরিয়া অনেক কমে গেছে।

উল্লেখ্য, দেশের রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি এই তিন জেলায় সব থেকে বেশি ম্যালেরিয়া রোগী পাওয়া যায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম-এর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বর্ধন জং রানা, সিডিসি’র পরিচালক নাজমুল ইসলামসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page