রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২১ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
বিজিএমইএ সভাপতির সাথে ওইসিডি ও এডিবি প্রতিনিধিদের বৈঠক
/ ৮০ Time View
Update : রবিবার, ২১ মে, ২০২৩, ৬:১০ অপরাহ্ন

সিনিয়র রিপোর্টার:

অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) এবং এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় বিজিএমইএ কার্যালয় পরিদর্শন এবং সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রোববার (২১ মে) বিজিএমইএ সভাপতির কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে তারা পোশাক শিল্প ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এফডিআইর (বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ) ভূমিকাসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতি এবং ২০২৬ সালে এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের পর অর্থনৈতিক প্রভাবসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

পাশপাশি তারা রপ্তানির আরও বৈচিত্র্যকরণ এবং পোশাক শিল্পের ভেতরে এবং বাইরে এফডিআই আকর্ষণের চ্যালেগুগুলো নিয়েও আলোচনা করেন।

এ সময় বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে ডিউ ডিলিজেন্স শর্তগুলোর প্রভাবও গুরুত্ব পেয়েছে।বৈঠকে বাংলাদেশে ওইসিডি বিনিয়োগ নীতি পর্যালোচনার বিষয়েও কথা হয়।

পর্যালোচনাটি দেশে স্থানীয় এবং বিদেশি বিনিয়োগের পরিবেশ বিষয়ে মূল্যায়ন করবে এবং বিনিয়োগের কাঠামোগত উন্নয়নের জন্য করণীয় বিষয়ে সুপারিশ করবে।
বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা তৈরি পোশাক শিল্পের মুখপাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিজিএমইএ পর্যালোচনাটি রচনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শক অংশীদারের ভূমিকা পালন করেছে।

এছাড়া বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান অবস্থা, শিল্পের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা ও সুযোগগুলো তুলে ধরেন।

তিনি প্রতিনিধিদলকে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে শিল্পের রূপকল্প এবং প্রস্তুতি, বিশেষ করে পণ্য বৈচিত্র্যকরণ, প্রযুক্তির মানোন্নয়ন ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে শিল্পের প্রস্তুতি গ্রহণ বিষয়ে অবহিত করেন।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প উচ্চমূল্যের পোশাকের ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে এবং উচ্চ মূল্য সংযোজন ও নন-কটন টেক্সটাইলের মতো বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য কাজ করছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন এবং ডিউ ডিলিজেন্স প্রতিপালনের ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যও কাজ করছে।

ওইসিডি-এডিবি প্রতিনিধিদল কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ব্যাপক অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, এই অর্জনগুলো অন্যান্য শিল্প খাতের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

তারা অন্যান্য খাতগুলো যাতে করে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পোশাক শিল্পের মডেল অনুসরণ করতে পারে, সেজন্য বিজিএমইএকে সহযোগিতা দেওয়ার আহ্বান জানান।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এ বিষয়ে প্রতিনিধিদলকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার মাধ্যমে বিজিএমইএ অন্যান্য খাতগুলোকে সহযোগিতাদিতে সদা প্রস্তুত রয়েছে।

বৈঠকে ওইসিডি ডিএএফ ইনভেস্টমেন্ট ইউনিটের অর্থনীতিবিদ ফার্নান্দো মিস্টুরা, পলিসি অ্যানালিস্ট আইরিস ম্যানটোভানি, ওইসিডি আরবিসি সেন্টারের পলিসি অ্যানালিস্ট সেবাস্টিয়ান ওয়েবার ও ম্যাথিয়াস অল্টম্যান; এডিবির সিনিয়র কান্ট্রি স্পেশালিস্ট সুন চ্যান হং, সিনিয়র ইকোনমিক অফিসার মাহবুব রব্বানী, কনসালটেন্ট মাসরুর রিয়াজ এবং বিকেএমইএর সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page