স্বাধীনতা টিভি বাংলা, অনলাইন: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ সকালে চট্টগ্রাম এসে পৌঁছান। রবিবার (৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম সফরকালে সরকারপ্রধান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি অনুষ্ঠান ও আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন। বিকালে নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে জনসভাস্থলে চট্টগ্রামের ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী পৌঁছান তিনি। সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছান। সেখানে তিনি ‘৮৩তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্স’-এর কমিশন প্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত ‘রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ’-এ অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম আগমন উপলক্ষে সৌন্দর্যবর্ধনের সঙ্গে প্রচারপত্র ও দৃষ্টিনন্দন তোরণ এবং ঝলমলে আলোকসজ্জায় বর্ণিল হয়ে ওঠে নগর। দলীয় নেতাকর্মীদের প্রচার-প্রচারণায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
ইতোমধ্যে প্রশাসনের পাশাপাশি দলীয় উদ্যোগে নগরের পলোগ্রাউন্ডে জনসভার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম আগমন উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জনসভাস্থলসহ আশপাশের এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রায় দেড়শত সিসিক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ১০ বছর ৯ মাস পর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে দলীয় জনসভায় ভাষণ দেবেন আজ বিকেলে। জনসভার স্থল পলোগ্রাউন্ডে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী দলীয় প্রতীক নৌকা আকৃতির তিন হাজার ৫২০ বর্গফুটের দৃষ্টিনন্দন মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে অন্তত ২০০ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে।
পলোগ্রাউন্ডে এর আগে ২০১২ সালের ২৮ মার্চ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মহাসমাবেশে শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রেখেছিলেন। আজকের জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে আওয়ামী লীগ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানা গেছে। নেতারা বলেছেন, এটি হবে চট্টগ্রামের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সমাবেশ।
