রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৮ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
বাড়ি ওয়ালার কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা
/ ৩২২ Time View
Update : রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:০৯ পূর্বাহ্ন

কখনো শ্রমিক নেতা কখনো বাড়িওয়ালা কখনো সাংবাদিক কখনো আবার মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে বিচার সালিশ করেন মহিউদ্দিন মন্ডল। পারিবারিক কিংবা মারামারি এবং কি পাওনা টাকা আদায় করা সহ এমন বিচার সালিশির নাম করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ও কম নয় কথিত মানবাধিকার কর্মী মহিউদ্দিন মন্ডলের বিরুদ্ধে।

এমন একজন ভুক্তভোগী মোসাঃ মোকমাইন্নাহ খাতুন (৩৫) গত ১৭/০৯/২২ইং তারিখে যৌন হয়রানি ও পারিবারিক বিচারের নামে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা সহ ঘরের জিনিস পত্র বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ করেন আশুলিয়া থানায় তারই বাড়িওয়ালা মহিউদ্দিন মন্ডলের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী মোকমাইন্নাহ খাতুন অভিযোগ করে বলেন গত মাসের ১৭ তারিখে ইউশুফ মার্কেট মহিউদ্দিনের মন্ডলের বাড়িতে আমি ও আমার স্বামী একটি রুম ভাড়া নিয়ে বসবাস করা শুরু করি।

বসবাস করা অবস্থায় কয়েকদিনের মাথায় আমার স্বামী সাথে আমার মনমালিন্য হয় একপর্যায়ে আমাকে মারপিট করে আমার স্বামী। মারপিটের ঘটনা বাড়ির মালিক মহিউদ্দিন জানতে পারলে আমি ও আমার স্বামীকে তার ব্যাক্তিগত অফিসে ডেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেলে তার আমার স্বামীর ব্যাবহৃত এন্ড্রুয়েট মোবাইল ফোনও জাতীয় পরিচয় পত্রের স্মার্ট কাডটি ছিনিয়ে নেন এবং ২ ঘন্টার ভিতরে জরিমানার পুরো টাকা দিয়ে চলে যেতে বলেন, টাকা না দিলে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেন তিনি।

পরে কোন উপায়ন্তর খুজে না পেয়, ভয়ে আমার স্বামী এলাকা ছেড়ে চলে যায় এবং তার পরদিন আমিও পারিবারিক কলহ ঘরোয়া ভাবে মীমাংসার জন্য গ্রামের বাড়িতে চলে যায়।

উক্ত ঘটনার বেশ কয়েকদিন পর আমি ঢাকায় ফিরলে মহিউদ্দিন আমাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় তার ব্যক্তিগত অফিস ঘরে, এসময় অফিস ঘরের শাটার নামিয়ে আমাকে বিভিন্ন ভাবে তার সাথে অনৈতিক কাজ করার প্রস্তাব দেন মহিউদ্দিন । একপর্যায়ে আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ১২ হাজার টাকার বিনিময়ে খায়রুল নামে এক ব্যক্তির হাতে আমাকে অনৈতিক কাজের জন্য তুলে দেন।

সে সময় আমি কোনরকম উপায়ন্তর খুজে না পেয়ে গুলজার নামে আমার এলাকার এক বড় ভাইকে মোবাইলে ফোনে মহিউদ্দিন’র অফিসে ডেকে নিয়ে আসি, তার পরিচয় জানার পর মহিউদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে তার কাছ থেকে জোরপূর্বক একটি কার্টিজ পেপারে সাক্ষর করিয়ে নেয় এবং এসব বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিলে উল্টো তার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দেন মহিউদ্দিন। পরে আমরা সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে এসে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করি।

অভিযোগের ভিত্তিতে বিবাদী মহিউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাদী মোকমাইন্নাহ খাতুনের নামে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ দেন এবং সংবাদকর্মীদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন মহিউদ্দিন।

উক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে আশুলিয়া থানার এস আই রাজু মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন বিষয়টি মিমাংসা হয়ে গেছে।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page